সাড়ে ৫ মাস পর হিলি বন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে পেঁয়াজ আমদানি।তিন জায়গায় সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ লাগবেতাপপ্রবাহ বইছে দেশের অধিকাংশ জেলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন প্রধান সাক্ষীচট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে গেল প্রথম হজ ফ্লাইট
No icon

নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণই চ্যালেঞ্জ

নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি কম আয়ের মানুষসহ মধ্যবিত্তদেরও চরম কষ্টকর অবস্থায় ফেলেছে। এ অবস্থায় নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণ এখন অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। তাৎক্ষণিকভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। পাশাপাশি সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে আয়ের পুনর্বণ্টন, করোনা মহামারীতে সৃষ্ট সম্পদের অসামঞ্জস্যতা নিরসন ও মানুষের হাতে অর্থ এবং খাদ্য দিয়ে বাঁচিয়ে রাখাই এবারের বাজেটের মূল দর্শন হওয়া উচিত বলে মনে করছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে আগামী অর্থবছরের বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপিতে জনতুষ্টির প্রকল্প না নিতে পরামর্শের পাশাপাশি বর্তমান কঠিন সময়কে বিবেচনায় নিয়ে স্বল্পআয়ের মানুষের স্বস্তির জন্য কল্যাণমুখী বাজেট করার আহ্বান জানানো হয়েছে।আসন্ন জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে নিজেদের প্রস্তাবনা তুলে ধরতে গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডির সিপিডি সেন্টারে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ অভিমত তুলে ধরে বেসরকারি সংস্থাটি। সিপিডি বলছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উচ্চমূল্য চলতি অর্থবছরের বাকি সময়ে এবং জুলাই মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন অর্থবছরের প্রথম দিকেও থাকতে পারে। তাই অত্যাবশকীয় পণ্যের ওপর আরোপিত আমদানি শুল্কসহ অন্যান্য কর কমানোর পরামর্শ দিয়েছে তারা। সংস্থাটি মনে করে, নিত্যপণ্যের শুল্ক-কর কমানো হলে দাম কিছুটা কমতে পারে। আবার ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রির জন্য ওএমএস কার্যক্রম বিস্তৃত করা এবং গরিব মানুষের জন্য সরাসরি নগদ সহায়তা কর্মসূচির আওতাও বাড়তে হবে।

ব্রিফিংয়ে সিপিডি বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বল্পআয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে আগামী অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার পরামর্শ দেয়। অপরদিকে আগামী বাজেটে ধনীদের করহার বাড়িয়ে দরিদ্রদের নানা ধরনের ভাতা কমপক্ষে এক হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেয়। সমাজে যারা পিছিয়ে আছে, তাদের মধ্যে কীভাবে আয় বণ্টন নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সংস্থাটি মনে করে, বণ্টনব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে বৈষম্য কমে আসবে। এবার বাজেটে বয়স্ক, বিধবাসহ সব ধরনের ভাতার পরিমাণ ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নিম্নআয়ের মানুষদের সুরক্ষা দিতে খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছে তারা। সংস্থাটি মনে করে, যাদের জন্য ভর্তুকি দেওয়া হয়, এর সুফল পায় না তারা। এ জন্য যেখানে যেখানে ভর্তুকি প্রয়োজন, সেখানে দিতে হবে এবং তা নিশ্চিত করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।ব্রিফিংয়ে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, বর্তমানে দ্রব্যমূল্য অত্যন্ত বেশি। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যকর ভূমিকার পাশাপাশি মানুষ যেন কম মূল্যে পণ্য কিনতে পারে, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। যাদের প্রয়োজন, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা করতে হবে খাদ্যে প্রণোদনার। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রতিযোগিতা কমিশনের ভূমিকা শক্তিশালী করতে হবে। একটা ডাটাবেজ তৈরি করা প্রয়োজন, যেখান থেকে সঠিক তথ্যটা পাওয়া যাবে। মনিটরিং আরও জোরদার করতে হবে। এ ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তায় যেসব ভাতা দেওয়া হচ্ছে, তা মূল্যস্ফীতির তুলনায় অত্যন্ত কম। এ জন্য ভাতার পরিমাণ অন্তত এক হাজার টাকা করা এবং ২০ লাখ লোককে এর আওতায় আনার পরামর্শ দেন তিনি।