রাজশাহীতে বাগান থেকে গুটি আম নামানো শুরুসাড়ে ৫ মাস পর হিলি বন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে পেঁয়াজ আমদানি।তিন জায়গায় সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ লাগবেতাপপ্রবাহ বইছে দেশের অধিকাংশ জেলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন প্রধান সাক্ষী
No icon

দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি তথ্যপ্রযুক্তি খাত

বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বর্তমানে ৪১৬ বিলিয়ন ডলার। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে অনেক দেশ নাজুক অবস্থায় গেলেও, গেল বছরে বাংলাদেশের ৬.৯৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত।তথ্যপ্রযুক্তিতে ঈর্ষণীয় সাফল্য বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছে। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা ও তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবীদের কারণে বিদেশেও বাংলাদেশের অগ্রগতি সমুজ্জ্বল। এ ক্ষেত্রে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি তরুণদের নানা প্রচেষ্টা সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। দেশে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে। শুধু শহরেই নয়, জেলা উপজেলা সদর ছাড়িয়ে গ্রাম, এমনকি প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলেও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পৌঁছে গেছে। ফলে দ্রুত দেশের বিভিন্ন খাত বদলে যাচ্ছে।দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন বেসিস ও ইপিবির তথ্যমতে, বর্তমানে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রপ্তানি আয় ১.৪ বিলিয়ন ডলার। আর দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বাজার প্রায় ১.৬ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া দেশে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন, যাদের আয়ের পরিমাণ প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার। অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিউটের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিশ্বে দ্বিতীয়। ভারতের পরেই অবস্থান। অক্সফোর্ডের এই তথ্য বিশ্বের সব বড় বড় ফ্রিল্যান্সিং সাইটের হিসাব থেকে নেওয়া। এর বাইরেও সরাসরি ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করছেন অনেক ফ্রিল্যান্সার। তবে তথ্যপ্রযুক্তি খাত মানেই শুধু তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও ফ্রিল্যান্স পেশাজীবী নয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির পেছনের প্রতিটি খাতেই তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার দেশের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শুরু করে চিকিৎসা, অর্থনীতি, রাজনীতি, নিরাপত্তা, সংস্কৃতিসহ প্রতিটি মৌলিক ক্ষেত্রে যুগান্তকারী বিপ্লব এনে দিয়েছে। দিন দিন প্রযুক্তির এতই উৎকর্ষ সাধন হচ্ছে যে, মানুষও প্রাণভরে উপভোগ করছে এর সুফল। এককথায় প্রযুক্তি হয়ে উঠছে মানুষের ভার্চুয়াল বন্ধু। প্রযুক্তিভিত্তিক;সেবার কারণে কমেছে সময় ও ভোগান্তি। জীবনযাত্রার মান বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে কর্মসংস্থানও।