দুর্নীতি ও লুটপাট লুকিয়ে রাখতেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে : রুহুল কবির রিজভীবাংলাদেশসহ ছয় দেশে সীমিত পরিমাণে পিঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারততাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ খুলছে স্কুল-কলেজযুদ্ধবিরতি সম্পর্কে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেলো হামাসঝুম বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরলো সিলেটে
No icon

সয়াবিন তেল আমদানিতে প্রত্যাহার হচ্ছে ভ্যাট

রমজান মাস সামনে রেখে দেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম। অজুহাত হিসেবে রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিকে সামনে আনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, বাজারে তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকা এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারেও বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটগুলোর দাবি, জাহাজভাড়া বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে রিফাইনারি কোম্পানিগুলো হঠাৎ করে বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এর প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে। মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে। বর্তমানে আমদানি ও উৎপাদন বা ব্যবসায়িক দুই পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ রয়েছে। দুই পর্যায়েই ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ এখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ বিশ্লেষণ করছে। বর্তমানে আমদানি ও উৎপাদন বা ব্যবসায়িক দুই পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ রয়েছে। দুই পর্যায়েই ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সে জন্য আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট কমানো হতে পারে বলে এনবিআরের সূত্রে জানা গেছে। ভ্যাট বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাবটি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। তা অনুমোদন হলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে এক লিটার ১৬৮ টাকা, দুই লিটার ২৩৫-৩৪৫ টাকা ও পাঁচ লিটার সাড়ে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ভোজ্যতেলের বেশ সংকটও আছে। এ নিয়ে গত সপ্তাহে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই আলোচনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অবশ্য ব্যবসায়ীদের দেওয়া ভোজ্যতেলের দাম আরও বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। সয়াবিন তেলের দাম স্থিতিশীল রাখার উপায় উদ্ভাবনের বিষয়ে আলোচনা করতে গত সোমবার আমদানিকারক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) নেতারা। বৈঠকে আগামী তিন মাসের জন্য ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক-কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা। চিনি আমদানিতে ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ ছিল। গত বছরের অক্টোবর মাসে তা কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়। এই শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এদিকে রমজান মাস উপলক্ষে চিনির দাম স্থিতিশীল রাখতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কে ছাড় অব্যাহত রাখা হয়েছে। চিনি আমদানিতে ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ ছিল। গত বছরের অক্টোবর মাসে তা কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়। এই শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে এনবিআর নতুন আদেশে চিনি আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কে দেয়া ছাড়ের মেয়াদ বাড়িয়েছে। অর্থাৎ আরো আড়াই মাসের জন্য চিনি আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২০ শতাংশ অব্যাহত রেখেছে এনবিআর।