আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক আজ সর্বজনীন পেনশনের নিবন্ধন এক লাখ ছাড়াল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্কুল-মাদরাসা বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশমহাবিপদ এড়াতে এখনই সাজাতে হবে পরিকল্পনা ২৭ জেলায় স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বন্ধ থাকবে আজ
No icon

২৫ শতাংশ আদায় করেও পুরো ঋণে আয় দেখাতে পারবে ব্যাংক

চলতি বছর মাত্র ২৫ শতাংশ পরিশোধ করে নিয়মিত দেখানো ঋণের বিপরীতেও পুরো সুদ আয় খাতে নিতে পারবে ব্যাংক। করোনার মধ্যে ব্যাংকগুলোর আয় বেশি দেখানোর বিশেষ এই সুবিধা দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ২৫ শতাংশ আদায় করে নিয়মিত দেখানো ঋণের বিপরীতে অতিরিক্ত ২ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হবে।মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।পুরো ঋণ আদায় না করেই ব্যাংকগুলোর আয় বেশি দেখানোর এমন বিশেষ ছাড় দেওয়া হলেও গত ১ সেপ্টেম্বর ব্যাংকবহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে শুধু যে পরিমাণ ঋণ আদায় হবে তার বিপরীতে সুদ আয় খাতে নেওয়ার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে চলতি বছর যে পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করার কথা অন্তত ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলে খেলাপি না করার নির্দেশনা রয়েছে।করোনার কারণে গতবছর কেউ এক টাকাও পরিশোধ না করলেও তাকে খেলাপি করতে পারেনি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার দিয়ে জানিয়েছিল এবার ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে না। তবে গ্রাহকের ওপর যেন ঋণ পরিশোধের বাড়তি চাপ তৈরি না হয় সে জন্য অনাদায়ী ঋণ শোধে বাড়তি সময় দেওয়া হয়।

এরপর বিভিন্ন পক্ষের চাপে গত ২৭ আগস্ট সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার একটি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে বলা হয়, চলতি বছর কেউ ২৫ শতাংশ পরিশোধ করলে তাকে আর খেলাপি করা যাবে না। এই সুবিধা পাওয়া ঋণের ওপর আরোপিত সুদ আয় খাতে স্থানান্তর বিষয়ে পরে নির্দেশনা দেওয়ার কথা বলা হয়।মঙ্গলবারের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ওই নির্দেশনার আওতায় সুবিধা পাওয়া ঋণের আদায় ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ২০২১ সালে আরোপিত সুদ আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে। তবে গ্রাহকের প্রদেয় কিস্তির ২৫ শতাংশ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধে ব্যর্থ হলে এ সুবিধা বাতিল করে যথানিয়মে শ্রেণিকরণ করতে হবে। আর এ ধরনের সুবিধা পাওয়া ঋণের বিপরীতে বিদ্যমান নীতিমালার আওতায় যে সাধারণ প্রভিশন রাখা হয় তার অতিরিক্ত আরও ২ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হবে। এই প্রভিশন বিশেষ ইতিমধ্যে সৃষ্ট জেনারেল প্রভিশন কোভিড-১৯ অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে হবে।

গতবছর ঢালাও সুবিধার আওতায় নিয়মিত দেখানো ঋণে অতিরিক্ত ১ শতাংশ প্রভিশন রাখার বাধ্যবাধকতা ছিলো। ওই সুবিধা পাওয়া যেসব ঋণ নগদ আদায়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ সমন্বয় হয়েছে তার বিপরীতে গতবছর সংরক্ষণ করা অতিরিক্ত ১ শতাংশ প্রভিশন আয়খাতে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আর চলতিবছর আগস্টের সার্কুলারের আওতায় সুবিধা পাওয়া ঋণের প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন- ঋণগ্রহীতার নাম, ঋণ স্থিতি, আরোপিত সুদ, আয়খাত ও ইন্টারেস্ট সাসপেন্স হিসেবে স্থানান্তরিত সুদ, অতিরিক্ত প্রভিশনের পরিমাণ সংশ্লিষ্ট শাখায় এবং প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া ২০১৫ সালে বিশেষ সুবিধায় পুনর্গঠন ও ২০১৯ সালে এককালীন এক্সিট সুবিধাসহ যেসব ঋণের ক্ষেত্রে সুদ আয়খাতে স্থানান্তরে বিধিনিষেধ রয়েছে নগদ আদায় ছাড়া কোনোভাবেই তা আয় দেখানো যাবে না।