দুর্নীতি ও লুটপাট লুকিয়ে রাখতেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে : রুহুল কবির রিজভীবাংলাদেশসহ ছয় দেশে সীমিত পরিমাণে পিঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারততাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ খুলছে স্কুল-কলেজযুদ্ধবিরতি সম্পর্কে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেলো হামাসঝুম বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরলো সিলেটে
No icon

ইভ্যালিকে ব্যবসার সুযোগ দেওয়ার দাবি

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ইভ্যালি মার্চেন্ট ও ভোক্তাবৃন্দ নামের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। অর্ধেক দামে পণ্য দেওয়ার কথা বলে দেড় মাস আগে টাকা জমা নিয়ে গত তিন বছর ধরে ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করার মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগের মুখে আছে দায়গ্রস্ত ইভ্যালি। আপাত আকর্ষণীয় তার এই ব্যবসার মডেলে কিছু মানুষের পণ্য বিক্রির পরিমাণ বেড়েছ, আবার কিছু মানুষ কম দামে পণ্য কিনে লাভবান হয়েছে। কিন্তু লাখ লাখ মানুষ টাকা খুইয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন বিনিয়োগের নামে গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম টাকার বড় অংশ ব্যয় করে দিয়েছেন পণ্যের মূল্য ছাড়ের পেছনে।

এতে একদিকে স্বাভাবিক ব্যবসার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে; অন্যদিকে দিনে দিনে ঋণের বোঝা বেড়েছে ইভ্যালির। ব্যবসায় নিয়মিত লোকসানে দিয়েও গ্রাহকের টাকায় জৌলুসপূর্ণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেন রাসেল। বিজ্ঞাপন ও প্রমোশনের নামেও নানা বিতর্কিত পথে গ্রাহকের টাকা ঢেলেছেন রাসেল। এসব কর্মকাণ্ডের সমালোচনা হলে এর জবাবে রাসেল বলতেন, বড় বিনিয়োগকারী এনে এসব দায় শোধ করবেন তিনি। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির অস্বাভাবিক দায়ভার দেখে কেউ এখানে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসেনি। গত জুলাই পর্যন্ত ইভ্যালির কাছে কয়েক লাখ গ্রাহক ও মার্চেন্টের ৫৪৩ কোটি টাকা পাওনা সৃষ্টি হয়েছে বলে রাসেল দাবি করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, প্রকৃত দায় হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। এই পরিস্থিতিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর এক পাওনাদারের করা প্রতারণা মামলায় রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। কয়েক দফায় রিমান্ড শেষে এই দম্পতি এখন কারাগারে আছেন।

এদিকে এই গ্রেপ্তারকে দায় এড়ানোর ফন্দি হিসাবে আখ্যায়িত করে শুরু থেকেই তাদের মুক্তি জানিয়ে আসছেন এক শ্রেণির পাওনাদার। তারা প্রকৃত পাওনাদার কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তবে সংবাদ সম্মেলনে আবারও রাসেলের মুক্তি দাবি করে তাকে প্রশাসনের নজরদারিতে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়ার দাবি তোলা হয়। মোহাম্মদ নাসির ও সাকিব হাসান নামের দুই পাওনাদার স্বাক্ষরিত বক্তব্যে বলা হয়, ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল মুক্তি দিয়ে তাকে নজরদারির মাধ্যমে দিক নির্দেশনা দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে।

এসক্রো সার্ভিস চালু হওয়ার আগে অর্ডার করা পণ্য ডেলিভারি দিতে রাসেল সময় চেয়েছেন; আমরা তাকে সময় দিয়ে সহযোগিতা করতে চাই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধিন ই-ক্যাব, পেমেন্ট গেটওয়ে, মার্চেন্ট ও ভোক্তা প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধ্যতামূলক ব্যাংক গ্যারান্টিসহ বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের লাইসেন্স নিতে হবে বলে দাবি তোলা হয় সংবাদ সম্মেলনে।