টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু মঙ্গলবারদেশে বেকার ২৫ লাখ ৯০ হাজার১৫ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাসউপজেলা ভোট নির্বিঘ্ন করতে মাঠে পুলিশ র‍্যাব বিজিবিআগামী শুক্র ও শনি ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি
No icon

দেশি কম্পানির ঝোঁক বিদেশে বিনিয়োগে

দেশের কতগুলো কম্পানি বিদেশে বিনিয়োগ করেছে তার সঠিক কোনো তথ্য নেই, তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে বিদেশে বিনিয়োগ করছে এমন কম্পানির সংখ্যা এখন ১৭। এর মধ্যে পাঁচটিরই অনুমতি মিলেছে চলতি আগস্ট মাসেই। সব মিলিয়ে প্রায় ৫১১ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি পেয়েছে কম্পানিগুলো। এর বিপরীতে ৩৪১ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ বিদেশে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। গত ১৯ আগস্ট পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব উদ্যোক্তা বিদেশে বিনিয়োগ করেছেন তাঁদের কেউ কেউ লোকসানে পড়েছেন। কেউ কেউ বিনিয়োগ ফেরতও এনেছেন। আবার কোনো কোনো কম্পানি বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুই করতে পারেনি। অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশের অভাবেও দেশি কম্পানিগুলো বিদেশে বিনিয়োগে ঝুঁকছে। এদের মধ্যে কেউ বৈধভাবে অনুমতি নিয়ে বিদেশে বিনিয়োগ করছে। আবার কেউ অনুমতি না নিয়েই পাচারের টাকায় বিদেশে বিনিয়োগ করেছে। তাই অর্থপাচার রোধে দেশি কম্পানিকে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়ার পক্ষে মত দেন তাঁরা।

বিদ্যমান আইনে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে বিনিয়োগ উন্মুক্ত নয়। ফলে দেশের কোনো কম্পানি চাইলেই বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে শর্ত সাপেক্ষে বিনিয়োগ করতে পারে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৪৭ সংশোধন করে আগ্রহী কম্পানিগুলোকে শর্ত সাপেক্ষে বিদেশে বিনিয়োগে অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সূত্রগুলো বলছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া অনেকেই অবৈধ পথে টাকা নিয়ে বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ করেছে, তবে এর সঠিক পরিসংখ্যান কারো কাছেই নেই।

জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, এখন আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ ভালো। কাজেই দেশের কম্পানিগুলো বিদেশে বিনিয়োগ করতে চাইলে তাদের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। তবে যে দেশে বিনিয়োগ করতে চায় সেখানে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে বিনিয়োগের অনুমতি পেয়েছে কি না। কারণ অনেকেই বিদেশে বিনিয়োগের নামে টাকা পাচারও করছে। আমরা বিদেশে বিনিয়োগে ঝুঁকছি, কিন্তু দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর জন্য অন্য কারণ দায়ী। এজ অব ডুয়িং বিজনেস, গুড গভর্ন্যান্স ইন্ডিকেটর, কম্পিটিটিভনেস ইনডেক্সএগুলোর সব কটিতেই আমাদের অবস্থান অনেক নিচে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, দেশের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে না। এখন নিজ দেশের বিনিয়োগকারীরা যদি বিনিয়োগ না করে, তাহলে বিদেশিরাও আগ্রহ দেখাবে না। তারা মনে করে, এখানে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নেই। তাহলে দেশে বিনিয়োগের পরিবেশের অভাবে দেশি উদ্যোক্তারা বিদেশে বিনিয়োগ করার দিকে ঝুঁকছে কি নাএমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা কিছুটা তো আছেই।