বজ্রসহ শিলা বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে আজ শুরু হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করা হবে আজবৃহস্পতিবার থেকে কমতে পারে তাপমাত্রা, শুরু হবে বৃষ্টিঅনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
No icon

করপোরেট করহারে পরিবর্তন আসছে

আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে করপোরেট করহারে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিতে গতি ফেরানো, ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব বিবেচনা, নতুন কর্মসংস্থান এবং স্থানীয় শিল্পে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে এ সুযোগ দেওয়া হতে পারে বলে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে। করপোরেট কর কমানো হলে বেসরকারি খাত উৎসাহিত হবে। এতে বিনিয়োগ বাড়বে, কর্মসংস্থান তৈরি হবে; যা অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।চলতি অর্থবছরে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে পুঁজিবাজারে তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির কর ছয় বছর পর কমানো হয়। সেই ধারা আগামী অর্থবছরেও অব্যাহত রাখা হচ্ছে। তবে ঢালাওভাবে সব খাতে নয়, আগের মতো উৎপাদনশীল খাতের সঙ্গে জড়িত পুঁজিবাজারে তালিকাবহির্ভূত শিল্পের কর কমানো হচ্ছে। কোম্পানির করপোরেট কর সাড়ে ৩২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করা হচ্ছে।

বৈশি^ক মহামারীকালে স্থানীয় ও রপ্তানিমুখী শিল্পকে সুরক্ষার মাধ্যমেই কেবল অর্থনীতির ভিত মজবুত রাখা সম্ভব। কারণ শিল্প টিকে থাকলে উৎপাদন হবে, রপ্তানি বাড়বে। এর মধ্য দিয়ে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। মানুষের আয় বাড়লে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাজস্ব আদায়ও বাড়বে। বিদ্যমান কর কাঠামো অনুযায়ী করপোরেট করের আটটি স্তর আছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে ২৫, তালিকাবহির্ভূত কোম্পানিকে ৩২ দশমিক ৫, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও ২০১৩ সালে অনুমোদন পাওয়া নতুন ব্যাংককে ৩৭ দশমিক ৫, তালিকাবহির্ভূত ব্যাংককে ৪০, মার্চেন্ট ব্যাংককে ৩৭ দশমিক ৫০, সিগারেট, জর্দা ও গুলসহ তামাকজাত দ্রব্য প্রস্তুতকারী কোম্পানিকে ৪৫, তালিকাভুক্ত মোবাইল কোম্পানিকে ৪০ ও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানিকে ৪৫ শতাংশ এবং লভ্যাংশ আয়ের ওপর ২০ শতাংশ করপোরেট কর দিতে হয়। এর বাইরে তৈরি পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠানকে ১০ ও ১২ শতাংশ এবং সমবায় প্রতিষ্ঠানকে ১৫ শতাংশ হারে করপোরেট ট্যাক্স দিতে হয়।

রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, এটি দেশের ইতিহাসে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হয়ে থাকবে। ব্যবসায়ীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে। করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের টিকে থাকতে এই সহায়তা দরকার ছিল। ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও রিলিফ পাবেন। শিল্পায়নে উৎসাহিত হবেন।