আবারও কর্মবিরতিতে প্রাথমিক শিক্ষকরাবিশ্বে প্রথম এক ডোজের ডেঙ্গুর টিকা অনুমোদন দিল ব্রাজিলতিন মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ডনির্বাচনী সাজে সাজছে পুলিশ ও মাঠ প্রশাসনদ্রুত ভাঙা হবে সরকারি বেসরকারি ২৩টি ভবন
No icon

আবারও কর্মবিরতিতে প্রাথমিক শিক্ষকরা

তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আবারও লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। গত বুধবার রাতে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বার্ষিক পরীক্ষার ঠিক আগ মুহূর্তে সহকারী শিক্ষকদের এমন কর্মবিরতির ঘোষণায় শঙ্কা তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে।বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ সহকারী শিক্ষকদের অন্য দুই দফা দাবি হলো চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা নিরসন এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।বিজ্ঞপ্তিতে পরিষদ জানায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আশ্বাস সত্ত্বেও তাদের দাবির বাস্তবায়নে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় ২৭ নভেম্বর থেকেই লাগাতার কর্মবিরতি শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ৮ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি এবং শাহবাগে কলম সমর্পণ কর্মসূচির সময় পুলিশের হামলায় শতাধিক শিক্ষক আহত হওয়ার পর তাদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেয় সরকার। সেই আশ্বাসের ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও ১১তম গ্রেডের প্রজ্ঞাপনসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন শিক্ষকরা।

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি  বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় থাকলেও আশ্বাস ছাড়া আর কোনো বাস্তব অগ্রগতি নেই। তাই বাধ্য হয়েই আমরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে গেছি।দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক শামছুদ্দিন মাসুদ বলেন, আমরা চাই, সরকারের দেওয়া ১১তম গ্রেডের প্রতিশ্রুতি দ্রুত প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হোক। তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলেও জানান তিনি।উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল সন্ধ্যায় আন্দোলনরত প্রাথমিক শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান।  মহাপরিচালক শিক্ষক নেতাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। তবে দাবি পূরণে সরকারের লিখিত কোনো গ্যারান্টি ছাড়া কর্মসূচি প্রত্যাহারে রাজি হননি শিক্ষক নেতারা।প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭ এবং সহকারী শিক্ষক সংখ্যা তিন লাখ ৮৪ হাজার। সম্প্রতি প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১১তম থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হলেও সহকারী শিক্ষকরা এখনও ১৩তম গ্রেডেই আছেন।

সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় শাটডাউনের হুঁশিয়ারি নবম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, দ্রুত স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গঠনসহ চার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে রাজধানীর আব্দুল গণি রোডের শিক্ষা ভবন চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। আগামী রোববারের মধ্যে তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে সোমবার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা ও ভর্তি কার্যক্রম বর্জন করে সাত শতাধিক সরকারি স্কুলে শাটডাউন ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন মাধ্যমিকের শিক্ষকরা।বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন মাহমুদ সালমী বলেন, সহকারী শিক্ষক পদটি নবম গ্রেডে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত করে দ্রুত সময়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গঠন করা হলে শিক্ষকরা অন্যান্য প্রশাসনিক পদে পদান্নতির সুযোগ পাবেন।মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে ৭২১টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে।