
দেশে এখন ভোটার ১২ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৫০৪ জন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য হালনাগাদের পর গতকাল রবিবার সম্পূরক ভোটার তালিকা প্রকাশ করে এ তথ্য জানান ইসি সচিব আখতার আহমেদ। তিনি জানান, সব মিলিয়ে নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে ৪৭ লাখ ৮ হাজার ৮৫৮ জন এবং বিদ্যমান তালিকা থেকে প্রায় ২৩ লাখ ভোটার কর্তন করা হয়। সে হিসাবে ২৫ লাখের বেশি ভোটার বেড়েছে। গত ১০ আগস্ট খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন। দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হলো।নির্বাচন কমিশন জানায়, হালনাগাদের পর পুরুষ ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৪১ লাখ ৪৫৫ জনে; নারী ভোটার সংখ্যা হয়েছে ৬ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৮১৯ জন এবং ১ হাজার ২৩০ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
ইসি সচিব বলেন, গত ২৫ জুন পর্যন্ত খসড়া তালিকায় যোগ হয়েছিল ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ২১৬ জন। মারা যাওয়ায় কর্তন করা হয়েছিল ২১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯০ জন। এরপর ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে আরও ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬৪২ জন অন্তর্ভুক্ত হন। মারা যাওয়ায় তালিকা থেকে কর্তন করা হয়েছে ১ হাজার ৩৮ জন ভোটার। সব মিলিয়ে নতুন ভোটার যুক্ত হয় ৪৭ লাখ ৮ হাজার ৮৫৮ জন এবং বিদ্যমান তালিকা থেকে প্রায় ২৩ লাখ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়। সে হিসাবে ভোটার বেড়েছে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার ২৩০ জন। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যারা ১৮ বছর পূর্ণ করবেন তাদের নিয়ে আরেকটি তালিকা হবে। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩০ নভেম্বর।
এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটার বাড়লেও নারীদের ভোটার হতে অনীহা ও কুসংস্কার দূর করতে নারী সংগঠনগুলোর সহায়তা চেয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। গত ১০ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ধারাবাহিকভাবে নারী ভোটারের সংখ্যা কম দেখা যাচ্ছে। এবার প্রচারণার ফলে ব্যবধান কমেছে।সানাউল্লাহ বলেন, আরও বেশ কিছু সংখ্যক নারী আছেন, যারা এখনও তালিকাভুক্ত হননি। ১৮ বছর বয়স হলেও বিয়ে না হওয়ার আগে অনেক জায়গায় মেয়েরা তালিকাভুক্ত হতে চাননি। অনেকে চান শ্বশুরবাড়ি গিয়ে ভোটার হতে। এমনকি ফেস পর্যন্ত দেখাতে চান না, ছবি তুলতে চান না এবং ভোটার হতে চান না।