আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসএপ্রিলে ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টি অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টিবজ্রসহ শিলা বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে আজ শুরু হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন
No icon

বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সেপ্টেম্বরের পর স্বাভাবিক হবে

কোভিড মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশব্যাপী যে জ্বালানি সংকট শুরু হয়েছে তার ধাক্কা লেগেছে সারা বিশে। যার জেরে বাংলাদেশের মতো জ্বালানি আমদানিনির্ভর দেশে এর বেশি প্রভাব পড়েছে। জ্বালানি স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় দেশজুড়ে দেখা যাচ্ছে লোডশেডিং। সরকার বলছে, দেশের চলমান লোডশেডিং আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। মূল লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুতের চাহিদা কমাতে চায় সরকার। সে ক্ষেত্রে অফিস আদালতের সময় কমিয়ে আনার চিন্তা করা হচ্ছে। পাশাপাশি হোম অফিস চালু করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিতরণ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক জরুরি সভা শেষে তিনি এই ব্রিফিং করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসানসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা।

তৌফিক-ই-এলাহী বর্তমান পরিস্থিতিকে যুদ্ধাবস্থা উল্লেখ করে বলেন, সেপ্টেম্বরের পর বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে আশা করছি। জ্বালানি সংকটের কারণে এই মুহূর্তে বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে দুই হাজার মেগাওয়াটের মতো। আমরা যদি বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে পারি তা হলে ঘাটতি ৫০০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনা সম্ভব। অফিস সময় কমিয়ে আনার কথা ভাবা হচ্ছে। আমি ভাবছি আবার হোম অফিস চালু করা যায় কিনা। পাশাপাশি এখন করোনা সংক্রমণও বাড়ছে। সবাই মেনে চললে, ৫০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হবে না। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট প্রতিদিন প্রয়োজন। সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার নিশ্চিত করা হলে এই চাহিদা ১২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনা সম্ভব।গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে কোথাও আলোকসজ্জা না করা সংক্রান্ত এক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ভুইয়া স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশের বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার, শপিংমল, দোকানপাট, অফিস আদালত বাসাবাড়িতে আলোকসজ্জা করা যাবে না।