টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু মঙ্গলবারদেশে বেকার ২৫ লাখ ৯০ হাজার১৫ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাসউপজেলা ভোট নির্বিঘ্ন করতে মাঠে পুলিশ র‍্যাব বিজিবিআগামী শুক্র ও শনি ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি
No icon

সামনের দিনে মূল্যস্ফীতি আরো বাড়ার আশঙ্কা

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকারের দেওয়া মূল্যস্ফীতির হিসাব বিজ্ঞানসম্মত নয় ও অবাস্তব। তিনি বলেছেন, সরকার ৬.২২ শতাংশের যে মূল্যস্ফীতির কথা বলছে, বাস্তবতার সঙ্গে তার আদৌ মিল নেই। ধারণা করা হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশ হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। এই মূল্যস্ফীতি সামনের দিনগুলোতে আরো বাড়বে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।গতকাল সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরম আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মূল প্রবন্ধে এ কথা বলেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। বর্তমান আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি, জাতীয় বাজেট ও অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের প্রত্যাশা শীর্ষক ব্রিফিংয়ে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সরকারের মূল্যস্ফীতির হিসাব প্রকৃত বাস্তবতার সঙ্গে আদৌ মেলে না। বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার অনেক বেশি। যেমন : ভোজ্য তেল ও পাম তেলের দাম বেড়েছে ৬১ শতাংশের ওপরে। আটা-ময়দার মতো পণ্যের দামও ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। তবে মোটা চালের দাম বাড়েনি। কিন্তু মাঝারি বা সুগন্ধি চালের দাম অনেক বেড়েছে। সার্বিকভাবে তেল, ডাল, ডিম, মুরগি, মাছসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ার যে হার দিচ্ছে টিসিবি, তা বিবিএসের দেওয়া তালিকার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গেও মেলে না।তিনি আরো বলেন, আমাদের ধারণা, মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। আগামী দিনে এই ধারা অব্যাহত থাকবে। বিশ্ববাজারে যে পণ্যের দাম বেড়েছে, সেই পণ্য এখনো দেশের বাজারে আসেনি। সেগুলো যখন আসবে, তখন নিত্যপণ্যের দাম আরেক দফা বাড়বে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এখন টাকার আমানতে গড় সুদের হার ৪.৪ শতাংশ। কিন্তু মূল্যস্ফীতি ৬.২২ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যাংকে টাকা রাখলে প্রতিবছর প্রকৃত মূল্য ২ শতাংশ করে কমে যাবে। এটা বড় ধরনের সঞ্চয়বিরোধী। আগামী দিনে টাকার মান অবশ্যই নিম্নমুখী হবে। তাই অবশ্যই সুদের হার বাড়াতে হবে। সামষ্টিক অর্থনীতিকে ধরে রাখতে হলে মূল্যস্ফীতিকে কেন্দ্র করে পরিকল্পনা সাজাতে হবে। সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে গরিব, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ তাদের আয় পণ্যমূল্যের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে না।