আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসএপ্রিলে ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টি অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টিবজ্রসহ শিলা বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে আজ শুরু হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন
No icon

এ বছর চালু হচ্ছে পদ্মা সেতু মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল

চট্টগ্রামসহ দেশের সব বড় শহরে মেট্রোরেল তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ক্ষেত্রে সবার আগে চট্টগ্রামের এয়ারপোর্ট থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেল এবং পরে পর্যায়ক্রমে অন্যগুলো করতে হবে। এবছরই পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল খুলে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে গতকাল অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এ সব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- শুধু ঢাকা কেন? চট্টগ্রামে মেট্রোরেল হতে হবে। চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট থেকে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেল হবে। এ ছাড়া বড় শহর বিশেষ করে যেখানে বিমানবন্দর আছে, সেখানে মেট্রোরেল হতে পারে।পর্যায়ক্রমে দেশের সব বড় শহরে মেট্রোরেল করতে হবে। এ বছরেই চালু হচ্ছে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী টানেল। ফলে প্রবৃদ্ধি প্রায় আড়াই শতাংশ বাড়বে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।সভায় জানানো হয়, পদ্মা সেতু প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুনে খুলে দেওয়া হবে। কর্ণফুলী টানেল চলতি বছরের অক্টোবরে খুলে দেওয়া হবে। এ ছাড়া মেট্রোরেল খুলে দেওয়া হবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, নালা বা খালের পানি রক্ষা করতে নালার নিচে ঢালাই দেওয়া হলেও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের তলদেশে সিমেন্ট ঢালাই না দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া প্রকল্পের সম্ভাব্য সমীক্ষার পরও যদি পরে ডিজাইন ভুল কিংবা নকশায় ক্রটি ইত্যাদি ধরা পড়ে তা হলে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সমীক্ষার পরও যদি প্রকল্প বারবার সংশোধন করতে হয়, তা হলে যারা সমীক্ষা করবে, সেই পরামর্শকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। কেননা তারা এখন আড়ালেই থাকছেন। অনেক টাকা নেন পরামর্শক খাতে। কিন্তু কাজে ভুল করলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া সরকারের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে যারা ভুক্তভোগী, তাদের ক্ষতিপূরণের অর্থ দ্রুত দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সিটি করপোরেশন অংশের ৪৯৮ কোটি টাকা দিতে হবে না। তবে ভবিষ্যতে যেন এমনটি না হয়। নিজেদের আয় বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে পরে সংস্কারকাজের জন্য একটি আলাদা তহবিল গঠন করা যেতে পারে। সংস্কারের অভাবে অবকাঠামোগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে না যায়।