ঢাকাসহ ৫ বিভাগে বৃষ্টির আভাস, অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহপ্রতিদিন মা হারাচ্ছে ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশুস্কুল-মাদ্রাসা খুলছে আজ, বন্ধ থাকছে ২৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানআজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসএপ্রিলে ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টি
No icon

করোনা সংক্রমণ বেশি বাড়লে লকডাউন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সারাদেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ পরিস্থিতি যখন ঊর্ধ্বগামী তখন দেশে আবারও লকডাউনের কথা ভাবছে সরকার।গণপরিবহনে অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহন ও সামাজিক অনুষ্ঠান সীমিত করাসহ বিধিনিষেধ সাত দিনের মধ্যে আরোপের কথা ভাবছে সরকার।মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন।তিনি বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। কারণ সংক্রমণ যেভাবে বেড়ে যাচ্ছে তাতে ১৫ দিন অনেক সময়। তাই আমরা আজ বলেছি, সাত দিনের মধ্যে বিধিনিষেধ প্রয়োগ করতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবও একমত হয়েছেন।গত সোমবার রাতে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মহামারী নিয়ন্ত্রণে রেস্তোরাঁয় বসার জন্য টিকা কার্ড বাধ্যতামূলক করাসহ বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপন ১৫ দিনের মধ্যে জারি করা হবে। একদিনের মাথায় সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বিধিনিষেধ জারির সময় সাত দিনে নামিয়ে আনার কথা জানান তিনি।স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, হোটেল রেস্টুরেন্টে বসে খেতে পারবেন কেবল ভ্যাকসিন গ্রহণকারীরা। এই ক্ষেত্রে তাদের থাকতে হবে ভ্যাকসিন কার্ড। যানবাহনে যাত্রী সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার চিন্তাও আছে। আমরা পিকনিক, বনভোজন, ওয়াজ মাহফিল, মসজিদে নামাযে যাওয়াসহ এই ধরনের সামজিক অনুষ্ঠানও সীমিত করার কথা বলেছি।এছাড়া ঘরে-বাইরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে জরিমানা আরোপের সুপারিশও করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান।দুই বছর আগে বিশ্বে নতুন করোনাভাইরাস মহামারী বাঁধিয়ে দেওয়ার পর গত বছরের প্রথম ভাগে ভারতে উদ্ভূত হয় ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এর দাপটে দেশটিতে ত্রাহি অবস্থা তৈরি হয়। অক্সিজেনের সঙ্কটে একের পর এক রোগী মরতে থাকে।

ভারতের পর গত বছরের এপ্রিল থেকে বাংলাদেশেও পরিস্থিতি নাজুক করে তোলে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। জুন-জুলাই-অগাস্ট মহামারীর সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পার করতে হয় দেশকে।এরপর পরিস্থিতির যখন উন্নতি হচ্ছিল, তখন দক্ষিণ আফ্রিকায় দেখা দেয় করোনাভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন। এই ভেরিয়েন্টই এখন দাপট দেখাচ্ছে বিশ্বজুড়ে।ভারতেও উদ্বেগ ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। গত এক সপ্তাহে ১ লাখ ৩০ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশটিতে, যা গত ১২ সপ্তাহে সর্বোচ্চ সংখ্যা।সংক্রমণ বাড়ার গতি বাংলাদেশেও একই রকম। এক সপ্তাহে রোগী বেড়েছে ৪৮ শতাংশ, মৃত্যুও বেড়েছে ৪২ শতাংশ। দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে ৩ মাস পর।ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে বলে উদ্বেগও বেশি। উদ্বেগ আরও বেড়েছে যখন জানা গেছে যে এটি টিকার সুরক্ষাও ভেদ করতে পারছে। এই পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে সোমবার সচিবালয়ে জরুরি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়।