বজ্রসহ শিলা বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে আজ শুরু হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করা হবে আজবৃহস্পতিবার থেকে কমতে পারে তাপমাত্রা, শুরু হবে বৃষ্টিঅনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
No icon

ওয়ানডে বলেই আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা

ওয়ানডেকে সবসময়ই দু হাত বাড়িয়ে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ। এমনকি আট মাসের বিরতির পরও এই ফরম্যাটে অনভ্যস্ততা তৈরি হয় না। বরং জয়ের আত্মবিশ্বাস বাড়ে দলের মাঝে। স্বাগতিকদের এই আত্মবিশ্বাসের আরও এক কারণ, দীর্ঘদিন পর যে কোনো ফরম্যাটে পূর্ণ শক্তির দল পাওয়া। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ থেকে শুরু হওয়া ওয়ানডে সিরিজে অনুপ্রেরণার আরও কারণ আছে। এ সিরিজটি জিতলে বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট তালিকায় অনেকটা নিরাপদ অবস্থানে চলে যাবে টাইগাররা। এরই মধ্যে ১২ ওয়ানডের আটটি জিতে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ডের পরই বাংলাদেশ।ঘরের মাঠে সম্প্রতি বাংলাদেশের ওয়ানডে রেকর্ড বেশ ভালো। গত আট বছরের মধ্যে তারা ঘরের মাঠে কেবল একটি দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে। তবে বাংলাদেশের মাটিতে আফগানরা বেশ ভালো খেলে। ২০১৪ সালে এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে হারানোর পরই প্রবল প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে আফগানরা। এর পর থেকে তাদের বিপক্ষে খেলতে গেলেই বাংলাদেশ দলের ভেতর একটা জুজু কাজ করে। যদিও ২০১৬ সালে দদলের সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশই ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল। দুই দলের শেষ দুই মোকাবিলায়ও বাংলাদেশই শেষ হাসি হেসেছিল। আর দুই দলের খেলা মোট আট ওয়ানডের মধ্যে পাঁচটি জিতেছে বাংলাদেশ।


এবার বাংলাদেশের সামনে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে আফগানদের স্পিন ট্রায়ো। বাংলাদেশের পিচে রশিদ-নবি-মুজিবদের ৩০ ওভার সামলানোটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। এরই মধ্যে আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিন স্পিনার এ সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। এ বিষয়টি বাংলাদেশের মাথায় ভালোমতোই আছে। তাই তো ২০ ফেব্রুয়ারির মতো গতকালও বাংলাদেশের নেটে মুশফিক-মাহমুদুলদের বল করতে দেখা গেছে দুই তরুণ লেগি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও রিশাদ হোসেনকে। শুধু তাই নয়, গতকাল জহুর আহমেদ চৌধুরীর নেটে বোলিং করেছেন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথও। আফগান স্পিন ট্রায়ো মোকাবিলার প্রস্তুতির জন্য শ্রীলঙ্কান এই কিংবদন্তি স্পিনারের চেয়ে ভালো বিকল্প আর হতে পারে না। নিজে বোলিং করার পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই আম্পায়ারের অবস্থানে দাঁড়িয়ে দলের স্পিনার নাসুম-মিরাজদের পরামর্শও দিয়েছেন হেরাথ। আর প্রথমবারের মতো কাজে নেমে ব্যাটারদের পরামর্শ দিয়েছেন জেমি সিডন্স। করোনার দ্বিতীয় পরীক্ষায় পজিটিভ হওয়ার পরও প্রটোকল অনুযায়ী ১০ দিনের আইসোলেশন শেষে গতকাল অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন জাতীয় দলের এই ব্যাটিং পরামর্শক। প্রথম দিনের অনুশীলনে হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে লম্বা সময় আলোচনা করতেও দেখা গেছে তাকে। তখন তাদের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় দলের দুই সিনিয়র সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ। প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার মধ্যে কোনোরকম ঘাটতি রাখছে না বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।


ওয়ানডে বলে তাদের মধ্যে একটা রোমাঞ্চ কাজ করছে বলেও জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল, গত জুলাইয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলাম। ছয়-সাত মাস পর এসেছি। তবে সবাই রোমাঞ্চিত। দ্বিধাহীনভাবে এটা আমাদের প্রিয় ফরম্যাট। এ বছর বেশ কয়েকটা ওয়ানডে আছে। গত বছর এভাবে ছিল না। কালকের (আজ) জন্য মুখিয়ে আছি। আশা করছি ভালো শুরু পাব। এমনকি আফগান স্পিনারদেরও ভয় পাচ্ছেন না তিনি, তাদের বোলিং অনেক ভালো, সম্ভবত সেরা স্পিন অ্যাটাক তাদেরই। কিন্তু তাদের বিপক্ষেই আমরা অতীতে অনেক ভালো করেছি, বিশেষ করে ওয়ানডে ফরম্যাটে। আবার কেন পারব না? তবে এই স্পিন ট্রায়োর কারণেই আজ চট্টগ্রামে স্পোর্টিং উইকেট দেখা যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তামিম, চট্টগ্রামের উইকেট তো সাধারণত ভালোই হয়, বিপিএলেও ভালোই ছিল। আশা করছি স্পোর্টিং উইকেট হবে, যেখানে পেসার, ব্যাটার- সবার জন্য সহায়তা থাকবে। স্পোর্টিং উইকেটের কারণেই আজ তিন পেসার খেলাতে পারে বাংলাদেশ। মুস্তাফিজ ও শরিফুলের সঙ্গে তাসকিনের খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নিউজিল্যান্ডে দুর্দান্ত বোলিং করা এবাদত হোসেনকেও খেলিয়ে দিতে পারে ম্যানেজমেন্ট।