সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাবিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে গবেষণা খাতভূমধ্যসাগর থেকে ৩৫ বাংলাদেশি উদ্ধারযুক্তরাজ্যে যাচ্ছে সীতাকুণ্ডের লিচুগাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলের হামলায় নিহত ১২১ ফিলিস্তিনি
No icon

উখিয়ায় ফিরছে না ভাসানচর থেকে পালানো রোহিঙ্গারা

ভাসানচর থেকে পালিয়ে উপকলে এসে হরহামেশাই ধরা পড়ছে রোহিঙ্গারা। তবে ইঞ্জিন বোটে করে যারা সাগরপথে পালাচ্ছে তারা ধরা পড়ছে না। গত শুক্রবার গভীর রাতে ভাসানচর থেকে পালানোর সময় বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ডুবে যাওয়া ইঞ্জিন বোটটির অভিমুখও বাংলাদেশের উপকল ছিল না।মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয়ে আছে। সরকার সেখান থেকে দুই লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর দীপাঞ্চল ভাসানচরে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে ১৯ হাজার শরণার্থীকে সেখানে আনা হয়েছে। ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর উখিয়া থেকে রোহিঙ্গাদের প্রথম দলটি ভাসানচরে পৌঁছে। তবে এর তিন মাস যেতে না যেতেই তারা ভাসানচর থেকে পালাতে শুরু করে। তাদের ক্ষুদ্র একটি অংশ পুনরায় উখিয়ায় ফিরে যায়। বৈধভাবে উখিয়ায় ফেরার অনুমতি না থাকায় কেউ কেউ টানা চার থেকে সাত ঘণ্টা সাঁতার কেটে সাগর পার হয়ে সদ্বীপ ও নোয়াখালী উপকলে উঠেছে। অনেকে উঠতে না পেরে ডুবে মারা গেছে। তবে নিয়মিতই একটি অংশ ইঞ্জিন বোট দিয়ে সাগরপথে পালিয়ে গেছে। গবেষকদের বিশ্বাস, সাগরপথে তারা ভিনদেশে পালিয়েছে।সর্বশেষ গত শুক্রবার রাত আড়াইটায় রোহিঙ্গা শরণার্থীবাহী একটি ইঞ্জিন বোট ভাসানচরের ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেলে ২৬ রোহিঙ্গা নারী ও শিশু

নিখোঁজ হয়। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১০ বছরের একজন শিশু এবং ২২ ও ২৫ বছরের দুজন নারীকে মৃত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদের উদ্ধারের আশাও এক প্রকার ছেড়ে দিয়েছে শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন কমিশন (আরআরআরসি)। ওই নৌকা থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয় ১৪ জনকে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটির ফর উইম্যান (এইউডবিউ) ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও মানবপাচার গবেষক ড. আহমেদ আবিদ আমাদের সময়কে বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সরকার সঠিক কটনীতিক উদ্যোগ নিতে না পারলে আগামী ২০ বছরেও রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে পারবে না। আর এটি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ভালো করেই জানে। এ জন্য তারা যেদিকে পারছে পালাচ্ছে। তারা জানে, ভাসানচরে তারা নাগরিকত্ব পাবে না। তাই দ্রত পালাতে পারলেই তাদের মঙ্গল। পালানো রোহিঙ্গাদের অভ্যাস।

তারা গত চার দশক বা তারও বেশি সময় ধরে পালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, উখিয়া শরণার্থী শিবির ঘিরে মানবপাচার ও অস্ত্র চোরাচালানের একটি চক্র সক্রিয়। আগামীতে এ চক্রটি ভাসানচরকে ঘিরেও সক্রিয় হবে। রোহিঙ্গারা মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সারাবিশ্বের সব খবর এবং বাংলাদেশ সরকারের অভ্যন্তরের সব কিছু মুহূর্তেই জেনে যাচ্ছে। তারা পালানোর জন্য ইঞ্জিন বোটের টাকা আসছে মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবে বসবাসকারী স্বজনদের কাছ থেকে। তারা পালাতে পারলে তো মুক্ত জীবন। আর এ জন্য প্রয়োজনে সাগরে ডুবে মারা যাওয়ার ঝুঁকিও তারা নিচ্ছে।