ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাসদেশে গণভোট কতবার এবং কেমন হয়েছিলকাল থেকেই কার্যকর এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতানির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে আয়োজন সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলামআজ ঢাকার বাতাসে কতটা দূষণ?
No icon

শুক্রবারের মধ্যেই সুপারিশ বাস্তবায়ন চায় জামায়াত

জুলাই সনদ ও গণভোটের ওপর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারকে যে সুপারিশ করেছে, তা শুক্রবারের মধ্যেই বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মগবাজারের আলফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের এ দাবি করেন।তিনি বলেন, বিএনপি প্রথমে তো কোনো সংস্কারই চাচ্ছিল না। এরপর জনগণের চাপে তারা সংস্কার কমিশনে গেছে। তাদের জায়গা করে দিতে আমরা অনেক স্যাক্রিফাইস করেছি। অনেক পয়েন্ট মাইনাস করেছি। এখন গণভোটকে গলাটিপে হত্যা করতেই বিএনপি নির্বাচনের দিন গণভোট চায়। বিএনপির আচরণ হচ্ছে, তারা কোথায় লাভবান হবে সেই হিসাব করেই সংস্কার চায়।পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) দাবি আদায় হয়নি। গণভোটও যদি না হয় তাহলে জামায়াতের পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আদায় করতে পারিনি, কে বলছে? আমরা আন্দোলনের মধ্যেই আছি। আজ (বৃহস্পতিবার) রাতের মধ্যে দেখি, করে কিনা। কালও (শুক্রবার) সময় আছে। বাকিটা কাল দেখা যাবে।

সরকারকে উদ্দেশ করে আবদুল্লাহ তাহের বলেন, বিএনপির সংবাদ সম্মেলনের কপি পেয়েছি। তারা বলছে, কোনোভাবেই গণভোট মানবে না। তাই সরকারকে অনতিবিলম্বে গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। আর সময় ক্ষেপণ না করে আজই ঘোষণা করুন। রাতের বেলায়ও অনেক আদেশ জারি করা যায়। না হলে আপনার সরকারের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলবে। আর যদি আস্থা হারিয়ে ফেলে, তাহলে জাতীয় নির্বাচন করা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এমন ইস্যু সামনে এনে একটা রাজনৈতিক অনাকাঙ্ক্ষিত সংশয় ও আস্থাহীনতার পরিবেশ যেন তৈরি না হয়। সময় ক্ষেপণ করতে করতে একটা সময় যদি বলা হয়, গণভোটের সময় নেই, তাহলে এটা হবে প্রতারণা।তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশন প্রতিটি বিষয়ে সবাইকে একমত করতে চেয়েছিল। পরিশেষে ৬০ শতাংশ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। সব দলের ঐক্যের ভিত্তিতে কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। সংস্কার তো সবসময় হতে পারে না। জাতীয় নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে হতে পারে না।

তিনি বলেন, আমরা বারবার বলে আসছি, ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন চাই। যে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, সেটার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন চাই। গণভোটও আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগে চাই। গণভোটের রায়ের ভিত্তিতে নির্বাচন চাই।আবদুল্লাহ তাহের অভিযোগ করেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগেই কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এবং মহল থেকে বিভ্রান্তিমূলক ও পরিবেশ উত্তপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নির্বাচন বানচাল নিয়ে ফেসবুকে নানা প্রচারণা চলছে আমাদের বিরুদ্ধে।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এটিএম মাছুম ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ।এর আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে নভেম্বরে গণভোট আয়োজনসহ বিভিন্ন দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) স্মারকলিপি দেয় জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দল।রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে স্মারকলিপি পেশ শেষে জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই সনদের টেকসই আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরের মধ্যেই গণভোটের দাবি করেছি আমরা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ও ছাত্র-জনতার রক্তের স্বীকৃতি দিতে হবে।তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট এক দিনে করা যাবে না। কিছু দল এ প্রস্তাব করলেও আমরা আটটি দল বলেছি, জুলাই সনদের স্বীকৃতির জন্য জাতীয় নির্বাচনের আগে নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট শেষ করতে হবে।