যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেলো হামাসঝুম বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরলো সিলেটেজলবায়ু পরিবর্তনজনিত কতটা ঝুঁকিতে বাংলাদেশতানজানিয়ায় ভারী বৃষ্টি-ভূমিধসে নিহত ১৫৫মাসের শুরুতে বৃষ্টির আভাস, গরম কমা নিয়ে সংশয়
No icon

রমযানের রোযার ফযীলত

রমযানের রোযার ফযীলত অনেক। ইসলামের যে সকল ইবাদতের সওয়াব ও পুরষ্কার সর্বাধিক তার মধ্যে রমযানের রোযা অন্যতম। অন্য কোনো ইবাদতের ফযীলত এতো বেশী  বর্ণিত হয় নি। এখানে আমরা রমযানের রোযার ফযীলত সম্পর্কে আলোচনা করব।

আবু হুরায়রা  রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«من صام رمضان إيماناً واحتساباً غفر له ما تقدم من ذنبه»

 ‘যে ঈমান ও এহতেছাবের সাথে সওয়াবের নিয়তে রমযানের রোযা রাখবে আল্লাহ তার অতীতের সকল গুণাহ মাফ করে দেবেন।’ 

এখানে ঈমান বলতে সত্যিকার ও যথার্থ ঈমান এবং সওয়াবের নিয়ত ও আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া লোক দেখানো কিংবা অন্য কোনো দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে রোযা না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

« كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ يُضَاعَفُ الْحَسَنَةُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلاَّ الصَّوْمَ فَإِنَّهُ لِى وَأَنَا أَجْزِى بِهِ يَدَعُ شَهْوَتَهُ وَطَعَامَهُ مِنْ أَجْلِى لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ فَرْحَةٌ عِنْدَ فِطْرِهِ وَفَرْحَةٌ عِنْدَ لِقَاءِ رَبِّهِ. وَلَخُلُوفُ فِيهِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ »

‘‘আদম সন্তানের প্রতিটি নেক কাজের জন্য ১০ থেকে ৭শ গুণ পর্যন্ত সওয়াব নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু মহান আল্লাহ বলেন, রোযা এর ব্যতিক্রম। সে একমাত্র আমার জন্যই রোযা রেখেছে এবং আমিই নিজ হাতে এর পুরষ্কার দেবো। সে আমার জন্যই যৌন বাসনা ও খানা-পিনা ত্যাগ করেছে। রোযাদারের রয়েছে দুইটা আনন্দ। একটা হচ্ছে ইফতারের সময় এবং অন্যটি হচ্ছে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের সময়। আল্লাহর কাছে রোযাদারের মুখের গন্ধ মেশক-আম্বরের সুঘ্রাণের চাইতেও উত্তম।’’

এই হাদীসে অন্যান্য ইবাদতের সওয়াবের পরিমাণ উল্লেখ করে রোযাকে ভিন্নধর্মী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেছেন, তিনি নিজ হাতে রোযার সওয়াব দান করবেন এবং সেটা হবে প্রচলিত হিসেবে চাইতে অনেক বেশি। অর্থাৎ আল্লাহ রোযাদারকে রোযার জন্য অনেক বেশি সওয়াব, পুরষ্কার ও বিনিময় দান করবেন।

সাহল ইবন সা‘দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

« إن في الجنة بابا يقال له الريان يدخل منه الصائمون يوم القيامة لا يدخل منه أحد غيرهم يقال أين الصائمون فيقومون لا يدخل منه أحد غيرهم فإذا دخلوا أغلق فلن يدخل منه أحد »

‘জান্নাতে ‘রাইয়ান’ নামক একটি দরজা আছে। রোযাদার ছাড়া আর কেউ সেই দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। রোযাদাররা প্রবেশ করলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং ঐ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করবে না।’ 

রোযার বিশেষ ফযীলত হচ্ছে জান্নাতের রাইয়ান দরজা। এটা রোযাদারের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদা। রাইয়ান শব্দটি আরবী رى এসেছে।  এর অর্থ হলো চূড়ান্ত তৃপ্তি সহকারে পান করা। রোযাদাররা জান্নাতে প্রবেশের পর সুস্বাদু পানীয় পান করবে, যার ফলে কোনো দিন তারা তৃষ্ণার্ত হবে না। ইবনে খুযাইমা উপরোক্ত হাদীসের আরো একটু বর্ধিত বর্ণনা দিয়েছেন। তাহলো: যারা প্রবেশ করবে, তারা পান করবে এবং যে পান করবে সে আর কোনোদিন তৃষ্ণার্ত হবে না। রোযাদারের জন্য জান্নাতের দরজা রাইয়ান নামকরণের তাৎপর্যও তাই। রাইয়ানের শাব্দিক অর্থের সাথে তাৎপর্যের মিল রয়েছে।

রোযাদারের ক্ষুধার চাইতে পিপাসার কষ্টই বেশী। তাই ক্ষুধার  তৃপ্তির পরিবর্তে পানীয় পান করার তৃপ্তি উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও জান্নাতে সকল খাবারই মওজুদ রয়েছে।

উপর্যুক্ত হাদীসসমূহে বিভিন্ন ইবাদতের মধ্যে রোযাকে শ্রেষ্ঠ ইবাদত হিসেবে চিত্রিত করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রোযার সওয়াব অগনিত ও অসংখ্য। আল্লাহ কি পরিমাণ সওয়াব বান্দাকে দেবেন, তা তিনিই ভাল জানেন। অথচ অন্যান্য ইবাদতের সওয়াবের পরিমাণ পূর্বাহ্নেই জানিয়ে দেওয়ায় সবাই তা জানে। নিঃসন্দেহে রোযার বিনিময় ও পুরস্কার রহস্যময়। আমরা যেন রোযার এই রহস্যময় বিনিময় থেকে উদাসীন না  থাকি।

আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:

«عن أبي أمامة قال أتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فقلت مرني بأمر آخذه عنك قال عليك بالصوم فإنه لا مثل له»

আমি রাসূলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহ রাসূল ! আমাকে এমন একটি কাজের আদেশ দিন যার দ্বারা আল্লাহ আমাকে উপকৃত করবেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তুমি রোযা রাখ। রোযার সমতুল্য কিছু নেই।

ইবনে হিব্বান উল্লেখ করেছেন, এরপর মেহমান ছাড়া আবু উমামার ঘরে দিনে কখনও ধোঁয়া দেখা যায়নি। অর্থাৎ তিনি রোযা রাখতেন। রমযানের রোযা ছাড়া নফল রোযাও বিরাট সওয়াব রয়েছে। আরেক বর্ণনায় এসেছে, আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেন: আমাকে এমন একটি কাজের আদেশ দিন যার দ্বারা আল্লাহ আমাকে উপকৃত করবেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  রোযা রাখার কথা বলেন।

অন্য হাদীসে রোযা রাখলে ভাল স্বাস্থ্য লাভ করা যাবে বলা হয়েছে। এটা কতইনা বাস্তব ও বৈজ্ঞানিক সত্য। কতগুলো রোগের জন্য রোযা নজীরবিহীন চিকিৎসা। যেমন-মেদ ভুঁড়ি, ইত্যাদি। এগুলো থেকে বহুমুত্র, রক্তচাপ অন্যান্য রোগ দেখা দেয়। রোযা বহুমুত্র রোগীর জন্য ঈদ স্বরূপ। কেননা, এর মাধ্যমে রক্তে সুগারের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং রোগী স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। মারাত্মক পর্যায়ের ডায়াবেটিস ব্যতীত বাদ বাকী ডায়াবেটিসের জন্য রোযা অত্যন্ত ফলদায়ক।  এছাড়াও পেটের বিভিন্ন অসুখ ও বদহজমীর জন্য, আলসার ও গ্যাস্টিকের রোগীর জন্য রোযা বিশেষ উপকারী। তাছাড়া সারা বছর হজমযন্ত্রকে দীর্ঘ মেয়াদী বিশ্রাম দেওয়া সম্ভব হয় না। রোযার মাধ্যমে হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি সাধিত হয়।

কোনো কোনো বর্ণনায় রোযাকে শরীরের যাকাত বলা হয়েছে। কেননা, সম্পদের যাকাতের মতো রোযাও শরীর থেকে অতিরিক্ত কিছু জিনিস বের করে দেয়। যাকাত শব্দের অর্থ হচ্ছে: ১) বৃদ্ধি করা ২) পবিত্রতা বা পরিশুদ্ধি অর্জন।

সম্পদের যাকাত দিলে আল্লাহ তা বাড়িয়ে দেন এবং তাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আসে। অনুরূপভাবে তার নৈতিক পবিত্রতাও অর্জিত হয়। রোযার মাধ্যমে মানুষের দৈহিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এবং নফসের লাগামহীন চাহিদা ও খারাপ লোভ-লালসা দূর হয়। ফলে নৈতিক দিক থেকে আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটে। যদিও বাহ্যিক দিক থেকে শরীরের কিছু ঘাটতি হয় বলে মনে হয়। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেছেন:

«الصِّيَامُ جُنَّةٌ وَحِصْنٌ حَصِينٌ مِنْ النَّار»ِ

“রোযা হচ্ছে ঢাল স্বরূপ এবং জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার সুরক্ষিত দুর্গ বিশেষ।

রোযাকে ঢাল বলার কারণ হলো, যুদ্ধে ঢাল যেমন শত্রুর তলোয়ার ও তীর বল্লম থেকে যোদ্ধাকে হেফাজত করে, রোযাও তেমনি রোযাদারকে গুনাহ কাজ ও শয়তান থেকে রক্ষা করে। সত্যিকার রোযাদার তাকওয়ার অনুশীলন করতে গিয়ে হাত, পা, চোখ, কান ও নাকের রোযা রাখে। অর্থাৎ পাপ কাজ থেকে বিরত থাকে, যা তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার সুরক্ষিত দুর্গ হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ রোযাদার জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাবে।

সুফিয়ান ইবন উয়াইনাহ রহ. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, ‘রোযা আমার জন্য রাখা হয়’ এর ব্যাখ্যায় বলেছেন: কেয়ামতের দিন আল্লাহ বান্দার নেক ও পাপ কাজের হিসেব নেবেন। তিনি তাদের নেকির বিনিময়ে পাপ কমাতে থাকবেন। তারপরও যদি পাপ অবশিষ্ট থাকে, তাহলে আল্লাহ তা ক্ষমা করে দেবেন এবং রোযার বিনিময়ে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।

এখানে রোযার সওয়াবকে বিনিময়ের উর্ধ্বে রাখার কথা বলা হয়েছে। অন্যান্য নেক কাজের সওয়াবের বিনিময়ে গুনাহ মাফ করা হবে। কিন্তু রোযার সওয়াব গুনাহ মাফের মোকাবিলায় নয়; বরং জান্নাতে প্রবেশের উপায় হিসেবে ব্যবহার করা হবে। রোযার সওয়াব ও মর্যাদা কতইনা বেশী। হাদীসে এসেছে: 
রোযাদারের মুখের না খাওয়াজনিত গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের সুঘ্রাণ থেকেও উত্তম।

কেউ কেউ বলেছেন, এর দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। আল্লামা কাস্তাল্লানী বলেছেন, হাশরের দিন রোযাদারের মুখের দুর্গন্ধ সুগন্ধে পরিণত হবে এবং তা রোযাদারের বিশেষ চি‎হ্ন হিসেবে বিবেচিত হবে। বস্তুত এ ধরনের অপব্যাখ্যার আশ্রয় নেওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং রোযার সময় উপবাসের কারণে পেট খালি থাকার ফলে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। মানুষের কাছে তার দুর্গন্ধ ও ঘৃনিত কিন্তু আল্লাহর কাছে তা পবিত্র। কেননা আল্লাহর আনুগত্য ও সন্তুষ্টির কারণেই তা মুখ থেকে বের হয়। তাই এর এই অসাধারণ মর্যাদা।

আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«الصيام والقرآن يشفعان للعبد يوم القيامة يقول الصيام أي رب منعته الطعام والشهوات بالنهار فشفعني فيه ويقول القرآن منعته النوم بالليل فشفعني فيه قال فيشفعان »

“কেয়ামতের দিন রোযা ও কুরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোযা বলবে, হে আমার রব! আমি তাকে খাদ্য ও যৌন চাহিদা থেকে বিরত রেখেছি, আমাকে তার ব্যাপারে সুপারিশ করার অনুমতি দিন। কুরআন বলবে, হে আল্লাহ! আমি তাকে রাত্রে ঘুম থেকে বিরত রেখেছি। আমাকে তার ব্যাপারে সুপারিশ করার অনুমতি দিন। বর্ণনাকারী বলেন, তাদের উভয়কে সুপারিশ করার অনুমতি দেওয়া হবে।

রোযা ও কুরআন যদি বান্দার ব্যাপারে সুপারিশ করে, তাহলে হাশরের কঠিন দিনে তা অন্য যে কোনো সাহায্যকারীর চাইতে উৎকৃষ্ট হবে। যদিও সেখানে কেউ কারুর সাহায্য তো দূরে থাক, সাহায্যের নাম শুনতেও পালিয়ে যাবে।

মহান আল্লাহ বলেন:

﴿ يَوۡمَ يَفِرُّ ٱلۡمَرۡءُ مِنۡ أَخِيهِ ٣٤ وَأُمِّهِۦ وَأَبِيهِ ٣٥ ﴾ [عبس: ٣٤،  ٣٥] 

““সেদিন ভাই তার ভাই থেকে, মা বাবা থেকে এবং স্ত্রী স্বামী ধেকে বাচ্চারা নিজ পিতা থেকে পালিয়ে যাবে।” 
সেদিন প্রত্যেকে নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকবে। কারুর ব্যাপারে কেউ সাহায্য করতে পারবে না। হ্যাঁ, যাদেরকে আল্লাহ অনুমতি দিবেন, তারা পারবেন।

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

« الصَّلَوَاتُ الْخَمْسُ وَالْجُمُعَةُ إِلَى الْجُمُعَةِ وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ مُكَفِّرَاتٌ مَا بَيْنَهُنَّ إِذَا اجْتَنَبَ الْكَبَائِرَ »

“পাঁচ ওয়াক্ত নামায, এক জুম’আ থেকে আরেক জুম’আ এবং এক রমযান থেকে আরেক রমযান মধ্যবর্তী সময়ের সগীরাহ গুনাহ ক্ষতিপূরণ হবে যদি কবীরা গুণাহ না করা হয়।

এই হাদীসে পাঁচ ওয়াক্ত নামায এবং জুমআর পাশাপাশি রমযানকেও মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহর কাফ্ফারা বলা হয়েছে। অর্থাৎ ছোট গুনাহসমূহ মাফ হয়ে যায়। তবে শর্ত হলো, কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকতে হবে। তওবা করলে আল্লাহ কবীরা গুণাহও মাফ করেন। রমযানের রোযা দ্বারা এক বছরের সগীরা গুনাহ মাফ হয়ে যায়। সত্যিই রমযান কতই না মহান।