মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যুপুনর্গঠন হচ্ছে নির্বাচন কমিশনবিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপিইসরায়েলের হামলায় গাজায় ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীসহ নিহত আরও ৭২জাতীয় ঐকমত্যের সংলাপে নতুন অগ্রগতি নেই
No icon

বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হলো ত্রিপুরার হোটেল

কিছুদিন আগে ভারতের ত্রিপুরার একটা বেসরকারি হাসপাতাল ঘোষণা দিয়েছিল, বাংলাদেশের রোগীদের আর চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে না। এবার ত্রিপুরার হোটেল অ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে কোনো পর্যটক ত্রিপুরায় গেলে, তাদের সেই এলাকার কোনো হোটেলে থাকতে দেওয়া হবে না।।অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, হোটেলে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ঘর দেবে না। রেস্তোরাঁর তাদের জন্য কোনো খাবার দেবে না। < বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর কথিত নির্যাতন এবং বাংলাদেশে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে এই কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে হোটেল অ্যাসোসিয়েশন।এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সৈকত ব্যান্যার্জী বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন এবং চিন্ময় প্রভুকে অকারণে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজ্যের সব হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশি নাগরিকদের পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। তবে, যারা আগে থেকে হোটেলের পরিষেবা নিচ্ছেন তাদের শুধু থাকতে দেওয়া হবে। অন্যদের পরিষেবা দেওয়া হবে না।

এ প্রসঙ্গে হোটেল এসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, আমরা বাংলাদেশের নাগরিকদের স্বাগত জানাই এবং তাদের জন্য হোটেল পরিষেবা প্রদানে বরাবরই আগ্রহী। তবে, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি আমাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুরক্ষা এবং নিয়মাবলীর প্রতি সম্মান জানিয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।এর আগে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন অফিসে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। গতকাল সোমবার এই হামলা চালায় হিন্দুত্ববাদী বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।ঘটনার বিবরণে জানা যায়, এদিন আগরতলার সার্কিট হাউজে অবস্থিত গান্ধি মূর্তির সামনে প্রথমে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। পরে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ছয়জনের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি দেন। এক পর্যায়ে সংগঠনের সদস্যরা সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে প্রবেশ করে স্থাপনার বিভিন্ন অংশ ভেঙে ফেলেন। এ সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের সদস্যরা উগ্রপন্থীদের বাধা দেন । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে মোতায়েন করা হয় সিআরপিএফর সদস্যদের।এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাথে হামলাকারীদের সংঘর্ষ ঘটে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়জুড়ে।