সাড়ে ৫ মাস পর হিলি বন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে পেঁয়াজ আমদানি।তিন জায়গায় সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ লাগবেতাপপ্রবাহ বইছে দেশের অধিকাংশ জেলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন প্রধান সাক্ষীচট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে গেল প্রথম হজ ফ্লাইট
No icon

জি-২০ সম্মেলনে অচলাবস্থা

বিশ্বে বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীর একটি সম্মেলন বসেছে ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে। সেখানে সমাপনী দিনে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার ওপর নিন্দা প্রস্তাবে অস্বীকার করেছে চীন। এতে গোটা সম্মেলনে অচলাবস্থা দেখা দেয়। জি-২০ সম্মেলনের বিবৃতিতে কিছু অংশ যেখানে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা প্রস্তাব রাখা হয়েছিল তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বেইজিং। অন্যদিকে মস্কো বলছে, রুশবিরোধী পশ্চিমা দেশগুলো এই সম্মেলনকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে।চীন এমন সময় জি-২০ সম্মেলনের বিবৃতি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানাল যখন ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তিতে বেইজিং ১২ দফা শান্তি প্রস্তাব প্রণয়ন করেছে। যদিও পর্যবেক্ষকরা এই শান্তি প্রস্তাবকে রুশপন্থি হিসেবে বিবেচনা করে আসছেন।জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই সম্মেলনের আয়োজক দেশ ছিল ভারত। বৈঠকে ইউক্রেন পরিস্থিতি মূল্যায়ন ও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয় উঠে আসে। কিন্তু এ বিষয়ে একটি টিকা দেওয়া হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত দুটি অনুচ্ছেদে রাশিয়া এবং চীন ছাড়া সব দেশ সম্মত হয়েছে। খবরে বলা হয়, এই অনুচ্ছেদগুলো গত বছর নভেম্বর মাসে বালিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ নেতাদের ঘোষিত নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ আগ্রাসনের কঠোর নিন্দা ও সমালোচনা করা হয়েছিল।

এদিকে সম্মেলনের পর ভারতের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অজয় শেঠ বলেছেন, রাশিয়া এবং চীনের প্রতিনিধিরা ইউক্রেন ইস্যুতে একমত হননি কেননা তারা মনে করেন, সম্মেলনের মূল ইস্যু হলো অর্থনৈতিক ও আর্থিক সংকটগুলো নিয়ে আলোচনা করা।ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, বাকি ১৮টি দেশই মনে করছে, যুদ্ধ বৈশি^ক অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলছে এবং বিষয়টি যোগ করা প্রয়োজন। বিবিসি জানিয়েছে, সম্মেলনের অনুচ্ছেদ-১৭ তে সম্প্রতি তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প, মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশ, বৈশি^ক করনীতি এবং খাদ্য অনিশ্চয়তার ওপর আলোকপাত করা হয়। তবে রাশিয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন পরিষ্কার ব্ল্যকমেইল করছে।ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপটে হঠাৎ করেই কূটনীতিকভাবে তৎপর হয়ে ওঠে বেইজিং। সম্প্রতি রাশিয়া সফর করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। একই সঙ্গে তিনি ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সফর করছেন। এরই মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তির লক্ষ্য নিয়ে ১২ দফা শান্তি প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। এই ১২ দফার কোনোটিতেই স্পষ্ট করে লেখা নেই যে, ইউক্রেন থেকে কখন রুশ সেনা প্রত্যাহার করা হবে কি-না। এমনকি বেইজিং কখনোই রুশ আগ্রাসনের নিন্দা জানায়নি। তবে দেশটি শুরু থেকেই সহিংস অবস্থানের বাইরে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছিল। চীনের এই শান্তি প্রস্তাব স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যে প্রস্তাবকে পুতিন স্বাগত জানাতে পারে, তাহলে এটি ভালো হয় কী করে!