ট্রাকচাপায় আহত সেই ফায়ার কর্মীর মৃত্যুজানুয়ারিতে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়াভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার৭৫ বছরে সবচেয়ে বড় সংকটে আওয়ামী লীগ১৮ ইউনিটের চেষ্টায় ৫ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সচিবালয়ের আগুন
No icon

উপজেলা ভোট নির্বিঘ্ন করতে মাঠে পুলিশ র‍্যাব বিজিবি

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আগামীকাল বুধবার প্রথম ধাপের নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ, র;্যাব, আনসার ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত এসব বাহিনী। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব রোধে সাইবার নজরদারি শুরু করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। ৫৯ জেলার ১৪০ উপজেলায় প্রথম ধাপে ভোট হতে যাচ্ছে।গতকাল সোমবার রাতে পুলিশের ৮৩ হাজার সদস্য মাঠে নেমেছে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে তারা দায়িত্ব পালন করবে। এর পাশাপাশি আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ সদস্য কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে ২ হাজার ৮২০ জন সশস্ত্র আনসার ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরে আরও ২ হাজার ২৮৮ জন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এদিকে র;্যাব ও বিজিবির পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। এর মধ্যে নির্বাচন প্রস্তুতি, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনপরবর্তী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছেন তারা। এবার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হিসেবে পুরো নির্বাচনে মোতায়েন আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালন তদারকির জন্য আলাদা টিম গঠন করেছে সদরদপ্তর। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আরও দুই হাজার সদস্য মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবে। তারা সবাই শুক্রবার পর্যন্ত মোতায়েন থাকবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাচনে বিরোধী দল অংশগ্রহণ না করায় ঝুঁকি কিছুটা বাড়ছে। তবে গোয়েন্দা জালে পুরো নির্বাচনী এলাকা। আলাদা টিমে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কোনো স্পর্শকাতর তথ্য পেলেই কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছে। নির্বাচনে প্রায় প্রতিটি উপজেলায় সরকারদলীয় একাধিক প্রার্থী অংশ নেওয়ায় কিছুটা আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। একই দলের একাধিক প্রার্থী থাকায় প্রশাসনকে খুবই নিরপেক্ষ ভূমিকায় থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি করে মোবাইল টিম টহলে থাকবে। এ ছাড়া প্রতিটি থানায় পুলিশ ও সশস্ত্র আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সদস্যদের স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখা হচ্ছে। থানা এলাকায় র;্যাব ও বিজিবি টহল দেবে। প্রয়োজন অনুযায়ী তারা অপারেশনে যাবে। ফরিদপুর জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, নির্বাচন ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। ভোটকেন্দ্র থেকে শুরু করে সর্বত্র গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। থানায় রাখা হয়েছে পুলিশ ও এজিবি স্ট্রাইকিং ফোর্স।

পুলিশ সদরদপ্তরের মুখপাত্র পুলিশ সুপার এনামুল হক সাগর বলেন, নির্বাচন ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনো ঘাটতি নেই। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনামতো সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নিরাপত্তায় পোশাকধারী সদস্যদের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা মোতায়েন করা হয়েছে। র;্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা কাজ করবেন। টহলের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নির্বাচনে পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত র;্যাব।আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপমহাপরিচালক (অপারেশনস) ফখরুল আলম বলেন, উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।