আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসএপ্রিলে ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টি অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টিবজ্রসহ শিলা বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে আজ শুরু হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন
No icon

ঈদের আগে বিআরটির র‍্যাম্প চালুর সিদ্ধান্ত

ঈদযাত্রায় মহাখালী-বিমানবন্দর-টঙ্গী-গাজীপুর সড়ক যানজটমুক্ত রাখতে বাস র;্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের বিমানবন্দর ও টঙ্গী অংশের র;্যাম্প নির্মাণকাজ আগামী ১৫ এপ্রিলের আগে সম্পন্ন করতে হবে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভায় এ সিদ্ধান্ত হলেও বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় রয়েছে।ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও যানজটমুক্ত রাখার উপায় খুঁজতে গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সচিব   বলেছেন, অনেকগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলোর বাস্তবায়ন হলে আগের মতো যানজট হবে না।প্রতি বছরই নানা উদ্যোগের কথা বলা হলেও ঈদযাত্রায় বিমানবন্দর থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত তীব্র যানজট হয়। ১৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে দিন পার হয়। প্রকল্প অনুমোদনের প্রায় ছয় বছর পর ২০১৮ সালে বিআরটির নির্মাণকাজ শুরুর পর যানজট নিত্যসঙ্গী হয়েছে এই সড়কের।সড়ক পরিবহন সচিব বলেছেন, ঈদের আগে বিমানবন্দরের সামনে র;্যাম্পের কাজ সম্পন্ন হবে। এটি চালু হলে যানজট কমবে।এই র;্যাম্প নির্মাণেই নিম্নমাণের সামগ্রী দিয়েছিল চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না গেঝুবা গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড। যা পরীক্ষায় দুই দফায় ফেল করে। ফলে বিআরটির ওভারপাসে এবং বাস ঘোরানোর লুপে ওঠার র;্যাম্পটি ভেঙে পুনর্নির্মাণ করতে হচ্ছে। গতকালের সভায় চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানায়, র;্যাম্পের জয়েন্ট এক্সপানশন নির্মাণের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই। আমিন উল্লাহ নুরী  বলেছেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে সেতু বিভাগ সরঞ্জাম সরবরাহ করবে।

ঢাকা বিআরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, সেতু বিভাগের কাছ থেকে সরঞ্জাম পাওয়া যাবে না কিনা, তা নিয়ে সোমবার বিকেলে পৃথক সভা হয়েছে। জয়েন্ট এক্সপানশনের বিশেষায়িত সরঞ্জাম প্রয়োজন। যা অর্ডার দিলে উৎপাদকরা বানিয়ে দেয়। ঈদের আগে পাওয়া গেলে র;্যাম্পের নির্মাণ সম্পন্ন হবে। র;্যাম্প ও স্টেশন বাদে বিআরটির বাকি কাজ শেষ। টঙ্গী-জয়দেবপুর অংশে বিআরটি করিডরের দুই পাশেই তিন লেনের সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। ঈদের সময় গাড়ির চাপ বাড়লেও ওই সড়কে যানজট হবে না বলে দাবি করেছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গত ডিসেম্বরে তৃতীয়বারের মতো বিআরটির ডিপিপি সংশোধন করে প্রকল্প মেয়াদ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এর আগেই ব্যয় ২ হাজার ৩৯ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। প্রকল্প কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, এ বছরেই চালু হবে বিআরটি।