ঈদের দ্বিতীয় দিনেও চলছে পশু কোরবানি‘এপ্রিলে নির্বাচন নানা দিক থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ’এবারও চামড়ার বাজারে ধস৬ বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনাগাজায় ইসরায়েলি হামলায় চার সাংবাদিকসহ নিহত ১৬
No icon

‘এপ্রিলে নির্বাচন নানা দিক থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষিত আগামী এপ্রিলে নির্বাচন উপযুক্ত সময় নয়, বরং নানা দিক দিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেনবিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের বিরোধে জড়িয়ে পড়া ও নতুন কোনো সংকট সৃষ্টি হওয়া কোনভাবেই কাম্য নয় বলেও মনে করেন তিনি।গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া ভাষণ দিয়ে সাইফুল হক এক বিবৃতিতে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ সম্পর্কে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও জনগণের মতামত ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি; বাস্তবে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ সম্পর্কে জনদাবি উপেক্ষিতই হয়েছে। ডিসেম্বরে কেন জাতীয় নির্বাচন করা যাবে না, ভাষণে তার যেমন সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই, তেমনি জাতীয় নির্বাচন কেন আগামী বছরের এপ্রিলে নিতে হবে তারও গ্রহণযোগ্য ও যুক্তিগ্রাহ্য কোনো কারণ উল্লেখ নেই।বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের যে ধারণা দিয়েছেন নানা দিক থেকেই তা উপযুক্ত সময় নয়।

এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন হলে রোজার মধ্যেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে হবে, যা বাস্তবানুগ নয়। তাছাড়া এপ্রিলেই রয়েছে বড় পাবলিক পরীক্ষা ও আবহাওয়াগত ঝুঁকি। কালবৈশাখীর আশংকাতো রয়েছেই।ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যে নির্বাচনকে উৎসবের আনন্দে নজিরবিহীন করতে চান তার জন্য জাতীয় নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বর বা তার আশেপাশেই অনুষ্ঠিত হওয়াটাই উত্তম। এটা কোনো ধরনের জেদ বা রশি টানাটানির বিষয় নয়। রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে রাজনৈতিক দল ও জনগণের আকাংঙ্ক্ষা ও দাবি বিবেচনায় নিয়ে এরকম একটি উপযুক্ত তারিখ নির্ধারণ করা কঠিন কোনো বিষয় নয়।বিবৃতিতে সাইফুল হক আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া এবং এ উদ্যোগের বিরোধিতাকারীদেরকে প্রতিহত করার যে আহবান জানিয়েছেন তা অনভিপ্রেত। রাজনৈতিক দল ও জনগণের বিরোধিতার মুখে কেন জাতীয় অর্থনীতির প্রধান লাইফলাইন চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানিকে তুলে দিতে হবে তা মোটেও বোধগম্য নয়। সরকারের উচিৎ হবে এ ধরনের বিতর্কিত তৎপরতা থেকে সরে আসা।