ঈদের দ্বিতীয় দিনেও চলছে পশু কোরবানি‘এপ্রিলে নির্বাচন নানা দিক থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ’এবারও চামড়ার বাজারে ধস৬ বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনাগাজায় ইসরায়েলি হামলায় চার সাংবাদিকসহ নিহত ১৬
No icon

এবারও চামড়ার বাজারে ধস

গত কয়েকদিন আগে মূল্য বাড়িয়ে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু বিগত বছরগুলোর মতো এবারও কোরবানির কাঁচা চামড়ার মূল্য নিয়ে উঠেছে নানা অভিযোগ।জানা গেছে, গরুর কাঁচা চামড়া কেনাবেচা হচ্ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায়, ছোট গরুর চামড়া কেউ কিনতে চায় না। এরপরেও কিনলে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার বেশি দাম হাকাচ্ছেন না কেউ। এতে করে এ বছরও চামড়ার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন মাদ্রাসা ও এতিমখানার দরিদ্র শিক্ষার্থীরা। এ চিত্র যেন রাজধানীসহ দেশজুড়েই।উল্লেখ্য, এ বছর ঢাকায় গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। অপরদিকে ঢাকার বাইরে গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।এদিকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে না বলে দাবি করে পশু কোরবানি দেওয়া ব্যক্তিরা জানান, গরুর চামড়ার জন্য মৌসুমি ব্যবসায়ীরা অনেক কম দাম দিচ্ছেন।এছাড়া দাম নিয়ে শুরু হয়েছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। আড়ত মালিকদের সংগঠন জানান, লোকসান এড়াতে সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনবেন না তারা।

এদিকে সাভারের চামড়ার আড়তগুলোতে আড়তদাররা দাম হাঁকাচ্ছেন প্রতি পিস গরুর চামড়া মানভেদে ৬০০-৭০০ টাকা। এছাড়া ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ছাগলের চামড়াও।অপরদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীদের মতে, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা না বুঝে বেশি দামে চামড়া কিনে নিয়ে আসেন। বাজার ভাল নয়। তাই ৭০০ থেকে ৯০০ টাকায় চামড়া কিনছেন তারা।বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব টিপু সুলতান গণমাধ্যমকে জানান, প্রতি বর্গফুটে দাম কিছুটা বাড়ানো হলেও বাস্তব খরচ বিবেচনা করলে ব্যবসায়ীদের লাভের সম্ভাবনা অত্যন্ত সীমিত। যেমন, একটি চামড়া ৭০০ টাকায় কিনে লবণ ও শ্রমিক বাবদ খরচ হয় ৩০০ টাকা, হাতবদলে বাড়ে আরও ১০০ টাকা। এতে করে দাম দাঁড়ায় ১ হাজার ১৫০ টাকা। এই চামড়া ট্যানারির কাছে কী দামে বিক্রি হবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা টিকবে কিনা, সেটি এখন একটি বড় প্রশ্ন।