দেশসেরা ব্র্যান্ডসমূহকে পুরস্কৃত করল বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেছেন ট্রাকচাপায় আহত সেই ফায়ার কর্মীর মৃত্যুজানুয়ারিতে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়াভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার
No icon

ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বড় পরিসরে সংলাপ করবেন প্রধান উপদেষ্টা

আগামীতে বৃহত্তর পরিসরে ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গেও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংলাপ করবেন বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেস সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ধর্মীয় নেতাদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।ধর্মীয় নেতাদের বক্তব্য প্রধান উপদেষ্টা শুনেছেন জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, এর মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশের পক্ষে ও বিপক্ষে যেসব শক্তি রয়েছে তাদের একটা বার্তা সরকার দিতে চেয়েছে। সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ সম্প্রদায়গত দিক থেকে একটা পয়েন্টে আছ, এক জায়গয় মিলিত হয়েছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার যেকোনো মূল্যে, যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখতে প্রো-অ্যাক্টিভ কাজ করবে। হঠকারী কাজ এ সরকার আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেবে না। বরং আমার জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির দিকে আগাব।তিনি বলেন, আমাদের দেশের সংহতির শক্তি বৃদ্ধি করব। বাইরের যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন, আমরা যদি এ দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িকভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকি। আরও অন্যান্য ক্ষেত্রবিশেষে ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে বাইরে যতই অপপ্রচার চলুক বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এটাই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন।

মাহফুজ আলম বলেন, এখানে হিন্দুসহ অন্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কোনো নিপীড়ন হয়ে থাকলে.. আমরা বলি না যে নিপীড়ন হয় না, অলআউট বলটা অসত্য কিন্তু যদি হয়ে থাকলে সেটার বিপরীতে সরকারের ব্যবস্থা আপনারা প্রচার করবেন।সুনামগঞ্জের ঘটনায় সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেটা গণমাধ্যমকে প্রচার করার অনুরোধ করেছেন প্রধান উপেদষ্টা। তাহলে তারা ট্রাস্ট পাবেন। এ দেশটা তাদের, সকল নাগরিকের। প্রধান উপদেষ্টা শেষমেশ বলেছন, সম্প্রীতি দরকার। সেটার সঙ্গে ভয় যাতে জড়িয়ে না যায়, বরং নাগরিকেরা নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারে, সবার মধ্যে মেলবন্ধন খুব স্বাভাবিকভাবে হয়। শুধু আমরা ঠেকায় পড়ছি তাই হিন্দু, বৌদ্ধদের ডাকতেছি তা যেন না হয়। এটা স্যার (ড. ইউনূস) ও সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি।মাহফুজ আলম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী যে পথে রওনা দিয়েছে এ পথে যাতে অনেক দূর যেতে পারি। বাংলাদেশের সব দল, মত, পথ ও ধর্মের মানুষ একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে দাঁড় করাতে পারি। এ জন্য ধর্মীয় নেতাদের সমর্থন চেয়েছি। তারা অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছেন। আমরা আশাকরি বাংলাদেশ যে গতিতে আগাচ্ছে এবং বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্য হচ্ছে এটা ভবিষ্যতে অনেক দূরে এগিয়ে যাবে।

সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে গণমাধ্যমকে সঠিক তথ্য তুলে ধরার আহ্বান জানান মাহফুজ আলম।তিনি বলেন, আমরা প্রেসনোট দিচ্ছি না, বরং বাংলাদেশের যেখান এ ধরনের ঘটনা ঘটবে সত্যতা তুলে ধরুন। আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে গণহত্যা হয়েছে তার স্বীকৃতি ভারতকে দিতে হবে। এখানে যত ধরনের নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু করব। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অব্যশই তাদেট গণমাধ্যমের ভূমিকা, যখন তাদের বলার সুযোগ হয়েছে বলেছি। তাদের বিষয়গুলো দেখার অনুরোধ করেছি।মাহফুজ আলম বলেন, অপপ্রচার দুই দেশের বন্ধুত্বের জন্য হুমকিস্বরুপ। আমরা আশাকরি তাদের সুমতি হবে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের দায়িত্ব হচ্ছে সত্যটা তুলে ধরার। সত্যিটাকে জয়ী করতে হবে। আমাদের গণঅভ্যুত্থান আমাদের রক্ষা করতে হবে।আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সম্প্রীত সম্মেলনের প্রস্তাবের বিষয়ের সরকারের ভাবনার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা প্রস্তাবনা।এ বিষয়টা উপদেষ্টা পরিষদ খতিয়ে দেখবে। দেশ ও জনগণের ভালোর জন্য যেকোন উদ্যোগ নিতে রাজি আছি। সেটা করে যাব।এক প্রশ্নের জবাবে সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, আইন দেখবে কে অপরাধী। সেখান ধর্ম, বর্ণ, জাত দেখা হবে না।

তিনি বলেন, ভারতীয় আগ্রাসনের চেয়েও বড় বিষয় হলো আমরা নিজেদের শক্তি কতটুকু বৃদ্ধি করতে পারলাম। আমাদের নিজেদের ভেতরে সংহতি আছে, কতটুকু প্রস্তুতি আছে। আগ্রাসনের কথা শুনতেই পারি। অনেক ধরনের আগ্রাসন অনেক দেশই করতে পারে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে শক্তি বৃদ্ধি করব, শক্তিশালী হব। এটাই দৃষ্টিভঙ্গি।দেশ বিরোধী অপপ্রচার রোধে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সরকার কাজ করবে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও কৌশলের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা করেছি। আশাকরছি দ্রুত কিছু ফলপ্রসূ পদক্ষেপ দেখতে পাবেন। বিশেষ করে প্রেস উইং এ কাজটা করছে দীর্ঘদিন ধরে। আমরা মনেকরি দেশের জনগণ ও গণমাধ্যম, সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিপ্লব করে যাচ্ছে। এটা পুরো দুনিয়ায় তুলে ধরতে পারব।এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ৯ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা। এর মধ্যে সাতটি বা আটটি দেশের দূতাবাস রয়েছে। তারা আমাদের বড় রপ্তানিকারক দেশ। দুইপক্ষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কথা হবে।