দেশের সব প্রধান মন্দিরসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঠেকাতে হটলাইন চালুসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে আট দফা দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)।গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দপ্তরে ইসকনের প্রতিনিধিদলের বৈঠককালে লিখিতভাবে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইসকন।দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং মনিটরিং সেল গঠন করা। সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যেসব হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হচ্ছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করা এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দুষ্কৃতকারীদের দ্রুত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ ভুক্তভোগী পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি ইসকনসহ অন্যান্য হিন্দু ধর্মাবলম্বী সংগঠনের প্রতি অপপ্রচার করেছে, তাদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া।
এ ছাড়া রয়েছে দুর্গাপূজায় তিন দিন ও রথযাত্রায় দুদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণার দাবি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় পরিপত্র জারি করা এবং তা যথাযথভাবে প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া। ইসকনসহ প্রধান মন্দিরগুলোয় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।বৈঠকে ছিলেন ইসকন বাংলাদেশের সভাপতি সত্য রঞ্জন বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস, কোষাধ্যক্ষ জ্যোতিশ্বর গৌর দাস এবং বিমল কুমার ঘোষ, অমানি কৃষ্ণ দাস, সুদর্শন জগন্নাথ দাস (সুকান্ত চক্রবর্তী) ও যুগধর্ম দাস (যুবরাজ গোপ)।বিমল কুমার ঘোষ জানান, বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের প্রতিকার ও নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়েছে। তিনি আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে বলেছেন। যে কোনো পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। আগামী ২৬ আগস্ট ইসকন আয়োজিত জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রধান অতিথি হতে সম্মত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।