চলমান কারফিউ পরিস্থিতির মধ্যেই সড়কে যান চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হয়ে গেছে। সড়কের পর স্বাভাবিক হয়েছে লঞ্চ চলাচল। আর আজ বৃহস্পতিবার থেকে সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে।কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাতের কারণে গত ১৮ জুলাই দুপুর থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনার ভিত্তিতে রেল কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে।জানা গেছে, স্বল্প দূরত্বে চলাচলকারী যাত্রীবাহী ট্রেন আজ থেকে চলাচল শুরু করবে। কারফিউ শিথিল থাকার সময় মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। দুই-তিন দিন পর থেকে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-গাজীপুর এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল পথের কমিউটার ট্রেনগুলো বেশি চলাচল করবে। কারফিউ শিথিল থাকা সময়ে তিন-চারবার যাতায়াত (ট্রিপ) করতে পারবে। দূরবর্তী যাত্রার মধ্যে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মধ্যে চলাচল করবে তিতাস কমিউটার ট্রেন। স্বাভাবিক সময়ে তিতাস ট্রেন দিনে চারবার আসা-যাওয়া করে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পথে স্বাভাবিক সময়ে ২০ বারের বেশি কমিউটার ট্রেন যাতায়াত করে। তবে শুরুতে চার-পাঁচবার আসা-যাওয়া করতে পারে বলে রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।এদিকে রেলের পশ্চিমাঞ্চলে (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ) কয়েকটি পথে ট্রেন চলাচল করতে পারে। এর মধ্যে রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত চলাচল করবে কমিউটার ট্রেন। এ ছাড়া ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে রাজবাড়ী পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন চালুর পরিকল্পনা আছে। এর বাইরে রাজশাহী থেকে রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের পথেও লোকাল ট্রেন চলতে পারে। চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারীর পথে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা আছে রেল কর্তৃপক্ষের। বর্তমানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করছে।রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, কারফিউ শিথিলকালে মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলবে আজ থেকে। এরপর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে ধীরে ধীরে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।