প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও বাড়ানোয় এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরও পড়ছে লকডাউনের মধ্যে। তবে মানুষের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনায় নিয়ে গণপরিবহন আংশিক চালুসহ কিছু কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এতে ঈদকে ঘিরে শঙ্কা কিছু কমলেও একেবারে দূর হয়নি। তাই সরকারকে ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে কঠোর নজরদারি করতে হবে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিম্নমুখী। শনাক্তের হার ৯ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। চলমান বিধিনিষেধের কারণে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমছে- এটি প্রমাণিত। সুতরাং ঈদের আগে আর কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না সরকার। এ কারণে চলমান বিধিনিষেধ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দোকানপাট ও শপিংমলের পর এবার গণপরিবহনও সীমিত পরিসরে চালু করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে জেলার মধ্যে গণপরিবহন চালানোর সিদ্ধান্ত নিলেও তা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে গাদাগাদি করে ঘরে ফেরার দৃশ্য অত্যন্ত পরিচিত। দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ রাখলেও মানুষের গ্রামে ফেরা কতটুকু আটকানো যাবে, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। কারণ, গত বছরের ঈদযাত্রার ইতিহাস সুখকর নয়।সে সময় দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ রেখেও মানুষের গ্রামে ফেরা আটকানো যায়নি। প্রাইভেটকার, পিকআপ ভ্যানসহ বিকল্প পথে হাজার হাজার মানুষ ঢাকাসহ বিভিন্ন নগরী থেকে গ্রামে যাতায়াত করেন। ওই ঈদযাত্রার পর গত বছরের জুন-জুলাই মাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছিল ব্যাপক হারে। এ কারণে এবারের ঈদ নিয়ে শঙ্কা কাটছে না। এর মধ্যে ভয় জাগাচ্ছে করোনার ভারতীয় নতুন ধরন। প্রতিবেশী বাংলাদেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় ঈদযাত্রায় কঠোর নজরদারি না করলে বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।