গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার মামলায় জামিন চাচ্ছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। তাদের বিরুদ্ধে যে মামলাটি রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের করা হয়েছিল। ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবু বকর ছিদ্দিকের আদালতে তাদের পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী আহসান হাবীব। জামিন শুনানিতে তিনি বলেন, ‘বাদীর সাথে মামলার বিষয়ে আপোষ-মীমাংসার কথা হয়েছে। তারা এখন জামিন পাওয়ার হকদার। জামিনে বাদীর আপত্তি নেই। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে তারা বিনাবিচারে কারাগারে আছেন। সবকিছু বিবেচনা করে তাদের জামিনের প্রার্থনা করছি। এদিন মামলার বাদী মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন আদালতে হাজির ছিলেন। জামিন দিলে আপত্তি নেই বলে তিনি আদালতকে জানান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
বাড্ডা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার (জিআরও) সাব-ইন্সপেক্টর রনপ কুমার এসব তথ্য জানান। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর রাসেল, তার স্ত্রী ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা এবং অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে বাড্ডা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন আলমগীর হোসাইন। ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর র্যাব রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় রাসেল-শামীমা দম্পতির বাসায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলাটির বাদী এবং ইভ্যালির গ্রাহক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইলেকট্টনিক সামগ্রী কেনার জন্য ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ২৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। কিন্তু ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি তা করেনি।। যে কারণে বিকাশ ও নগদের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজন।