নতুন নির্বাচন কমিশনের শপথ রোববারপ্রস্তুত হচ্ছে নির্বাচনী মাঠবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণাগাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজারকুয়াশা ও তাপমাত্রা নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস
No icon

ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বেশি, বিচারের তৎপরতা কম

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য এবং একজন চিত্র নায়িকাকে টেলিফোনে ধর্ষণের হুমকি দেয়ার অডিও ফাঁস হওয়ার পর মুরাদ হাসান প্রধানমমন্ত্রীর নির্দেশে গত ৭ ডিসেম্বর পদত্যাগে বাধ্য হন৷ এরপর তিনি ক্যানাডা যাওয়ার চেষ্টা করলেও সেদেশে ঢুকতে না পেরে দেশে ফেরত আসেন৷ এরপর দেশের অন্তত ৩০ টি জেলার আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন হয়৷ কিন্তু সব মামলাই খারিজ হয়ে যায়৷ ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালেও তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছিলেন দুই আইনজীবী৷ কিন্তু আদালত দুটি মামলাই খারিজ করে দিয়েছেন৷

ঢাকার আদালতের দুটি মামলার একটির বাদী ছিলেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকি৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, আদালত বলেছেন, মুরাদ হাসানের বক্তব্যে আমি নিজে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত না৷ এই কারণে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন৷ তবে তার কথা, এর আগে সারাদেশে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, মাহফুজ আনাম ও মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে৷ তখন আদালত মামলা নিয়েছেন৷ কিন্তু এখন নিচ্ছেন না৷ তাতে স্পষ্ট যে মুরাদ হাসান আইনের সুবিধা পাচ্ছেন৷ আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে না৷

তিনি জানান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতি ৬৪ জেলায়ই মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ অনেক জেলায় মামলা হয়েছে৷ আবার পরিস্থিতি দেখে অনেক জেলায় মামলা করাও হয়নি৷

মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ঢাকার শহবাগ থানায়ও একটি মামলা করা হয়৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুলিয়াস সিজার তালুকদার মামলাটি করেছিলেন ৭ ডিসেম্বর৷ কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার বলেন, আমরা ওই ছাত্রের অভিযোগকে মামলা হিসেবে নেইনি৷ আবেদন হিসেবে নিয়েছি৷ ওই আবেদনের ওপর এখন কোনো তদন্ত হচ্ছে না৷ আমরা ডিএপির জিজিটাল নিরাপত্তা আইন সেলে আবেদনটির ওপর মতামত চেয়েছি৷ এখনো মতামত পাইনি৷ মামলা করার পক্ষে মতামত এলে মামলা হবে৷

মুরাদ হাসানের স্ত্রীর অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, তিনি যে অভিযোগ করেছেন তাতে অপরাধ সংঘটন হয়ে গেছে৷ এখানে মামলা হবে৷ জিডি তখনই হয় যখন অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা থাকে৷ আর পুলিশ  মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতেই আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে৷ কিন্তু এই ক্ষেত্রে মুরাদ হাসানকে সুবিধা দেয়া হয়েছে৷