ইত্যাদির অনুষ্ঠানে ভাঙচুর-মারামারি, যে কারণ জানা গেলআসছে রমজানে পণ্যের সরবরাহ নিয়ে শঙ্কাআজ ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, বইছে হিমেল বাতাসবিডিআর বিদ্রোহের বিচারকাজ শুরু আজ
No icon

ইত্যাদির অনুষ্ঠানে ভাঙচুর-মারামারি, যে কারণ জানা গেল

দেশের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ইত্যাদির অনুষ্ঠানে মারামারি ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরে নির্ধারিত সময়ের আগেই স্থগিত হয়ে যায় অনুষ্ঠানটি। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে রানীশংকৈল উপজেলায় অবস্থিত রাজা টংকনাথের রাজবাড়িতে আয়োজিত ইত্যাদির অনুষ্ঠান ঘিরে এমন ঘটনা ঘটে।অনুষ্ঠান স্থগিত করার ঘোষণায় ইত্যাদি অনুষ্ঠানের পরিচালক হানিফ সংকেত বলেন, অনেক চেষ্টা করেও আপনাদের শান্ত করতে পারলাম না। আপনাদের জন্যই একটি সুন্দর আয়োজন করতে চেয়েছিলাম। তবে সেটা আর সম্ভব হলো না।ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানের বেশ কিছু মারধর ও ভাঙচুরের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঠাকুরগাঁও জেলাজুড়ে প্রায় ২ হাজার প্রবেশ পাসের ব্যবস্থা করেছিল ইত্যাদি কর্তৃপক্ষ। তবে অনুষ্ঠানে প্রায় লাখখানেক মানুষের সমাগম হয়। একপর্যায়ে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে ভাঙচুর ও মারামারির ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষ একাধিকবার পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। উপায় না পেয়ে অনুষ্ঠানের মাঝপথে এসে স্থগিত করতে বাধ্য হয়। তবে এমন পরিস্থিতির জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শনার্থীরা কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছে। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ছবি ও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে সমালোচনায় সরব নেটিজনরা।

ইত্যাদি অনুষ্ঠান দেখতে যাওয়া সানোয়ার হায়দার সবুজ বলেন, আমি ইত্যাদি অনুষ্ঠানে প্রবেশের পাশ নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। তবুও অনুষ্ঠানে ঢুকতে পারলাম না। এটা কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার জন্যই হয়েছে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শনার্থী রাসেল বলেন, এমন অতিরিক্ত দর্শনার্থী উপস্থিতির ধারণা আগে থেকেই ছিল।তবুও কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেনি। এটা তাদের ব্যর্থতা।এমএ সামাদ নামে একজন ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, আমি আর কখনও ইত্যাদি দেখতে যাব না।রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল হক বলেন, মারামারি হয়নি, তবে কিছু দুষ্টু ছেলে চেয়ার ফিকাফিকি করেছে। আর অনুষ্ঠান সময়ের আগেই শেষ করে দিয়েছে। কেউ আহত হয়নি।বিষয়টি নিয়ে রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসানকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিভিস করেননি।