আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে গত রাতে অবসর নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের খোঁজখবর রাখতে বিশেষ তৎপরতা শুরুপ্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকেরা দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা পাবেন : আপিল বিভাগমাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ দুপুর ১টায় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়দেশে ফিরলেন লিবিয়ায় আটকে পড়া ১৭৬ বাংলাদেশি
No icon

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভালোমন্দ ক্যাটাগরি সবুজ হলুদ লাল

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বা অনুরূপ কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। বিকল্প হিসেবে জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়নের আদলে, তবে এর চেয়ে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু করার সুপারিশ করেছে প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কার পরামর্শ কমিটি। তাতে বলা হয়েছে মূল্যায়নের মূল লক্ষ্য হবে বিদ্যালয় ও শিক্ষা ব্যবস্থার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। এই মূল্যায়নের ভিত্তিতে উপজেলা পর্যায়ে বিদ্যালয়গুলোকে সবুজ, হলুদ ও লাল হিসেবে তালিকাভুক্ত করা।রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার সার্বিক মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে গঠিত কনসালটেশন কমিটির প্রতিবেদন দাখিল উপলক্ষে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশের কথা জানান কমিটির ব্র্যাক বিশ^বিদ্যালয়ের ইমেরিটাস আহ্বায়ক ড. মনজুর আহমদ।তিনি বলেন, আমাদের আরও সুপারিশ আছে। নির্বাচিত কিছু সুপারিশের কথা এই সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমান সরকারের চরিত্র ভিন্ন রকম। আশা করি এসব সংস্কার নিয়ে তারা কাজ করবে। প্রধান আটটি বিষয় চিহ্নিত করে তার ওপর ভিত্তি করে সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়েছে।

সুপারিশসমূহ ভিত্তিমূলক দক্ষতা : প্রাথমিক শিক্ষার মূল লক্ষ্য হিসেবে শিশুদের বাংলা ও গণিতের ভিত্তিমূলক দক্ষতা অর্জনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলা শুধু একটি বিষয় নয়, এটি অন্য সব বিষয়ে প্রবেশের চাবিকাঠি। গণিতে মৌলিক দক্ষতা অর্জিত না হলে শিক্ষার্থীরা শিখনে ক্রমাগত পিছিয়ে থাকবে। এ জন্য প্রতিদিন এ দুটি বিষয়ে ৬০ থেকে ৭৫ মিনিট করে শিক্ষণ-শিখন সময় নির্ধারণ করা প্রয়োজন।এক শিফটের স্কুল : শিখন সময় বৃদ্ধির জন্য সকল বিদ্যালয়কে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এক শিফটের স্কুলে পরিণত করা প্রয়োজন। পঞ্চম প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কার্যক্রমে অন্তত ৫০ শতাংশ বিদ্যালয়ে এবং দশ বছরের মধ্যে সকল বিদ্যালয়ে এক শিফট চালু করা যেতে পারে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত অনূর্ধ্ব ১:৩০ নিশ্চিত করা দরকার।

নিরাময়মূলক সহায়তা : পিছিয়ে পড়া শিশুদের জন্য শ্রেণির ভেতরে ও বাইরে নিরাময়মূলক সহায়তা দিতে হবে। এ জন্য স্কুল স্থানীয়ভাবে প্যারা-টিচার (শিক্ষা-সহায়ক) নিয়োগ দিতে পারে।

শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয় মূল্যায়ন : ধারাবাহিক ও বার্ষিক মূল্যায়ন দ্বারা প্রত্যেক শিশুর শিখন-অগ্রগতি যাচাই করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বা এ ধরনের পরীক্ষার পরিবর্তে জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়নের আদলে (তবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য)

মৌলিক দক্ষতা জরিপের মাধ্যমে প্রতি বিদ্যালয়কে মান অনুযায়ী সবুজ, হলুদ ও লালে চিহ্নিত করা হবে। প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হবে প্রতি বিদ্যালয়কে সবুজে রূপান্তরিত করা। দরিদ্র পরিবারের ব্যয় লাঘব : যত দ্রুত সম্ভব মিড-ডে মিল প্রবর্তন, খাতা-কলম-ব্যাগ ইত্যাদি সামগ্রী বিতরণ এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্ধারিত অতি দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জন্য বর্ধিত হারে অর্থ সাহায্য প্রদান করা যেতে পারে।

শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর পেশাগত উন্নয়ন : শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের শিক্ষাকর্মীদের পেশাগত মর্যাদা, পদোন্নতি ও পেশাগত অগ্রগতির ব্যাপারে নির্দিষ্ট আশু পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে।

বর্তমানে শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে আছেন এবং প্রধান শিক্ষকের জন্য সরকার ১১তম গ্রেড প্রদান করেছে। শিক্ষক পদে প্রবেশ ১২তম গ্রেডে, দুই বছর পর স্থায়ীকরণ, আরও দুই বছর পর ১১তম গ্রেডে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি।