কোটা সংস্কার ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনকারীরা। ইতোমধ্যে সারা দেশের আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ে ৬৫ জনের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার সারা দেশের সমন্বয়কদের সঙ্গে গণসংযোগ করে সর্বাত্মক ব্লকেডে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।বেশকিছু দিন ধরে চলা এই আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সাত কলেজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সিংহভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের অংশগ্রহণ থাকলেও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের এতে অংশগ্রহণ ছিল না। তবে মঙ্গলবার থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে রাজপথে নামবেন তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আজ দুপুর ১২টায় মানববন্ধন করবেন।গতকাল সোমবার বুয়েটের অহর্নিশ ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কারেন্ট স্টুডেন্টস অব বুয়েট নামক ফেসবুক গ্রুপে এক স্ট্যাটাসে বিষয়টি জানানো হয়। বলা হয়, গত ৫ জুন হাইকোর্ট থেকে ২০১৮ সালে প্রকাশিত কোটা সংস্কারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রটি বাতিল করা হয়।
যার প্রতিক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে পুরো দেশের ছাত্রসমাজ রাস্তায় নেমে আসে। বুয়েট এ সময়টার মধ্যে টার্ম ফাইনালে বন্ধ থাকায় সংঘবদ্ধ হয়ে কিছু করে উঠতে পারেনি। এ ব্যাপারে অহর্নিশ ১৯ দফায় দফায় আলোচনা করে। তবে হলে জনবল কম থাকায় সশরীরে নামার সুযোগ সৃষ্টি হয়ে উঠেনি। টিচারদের পেনশন স্কিমের আন্দোলনের জন্য ক্যাম্পাস অফ থাকায় শিক্ষার্থীরাও হলে আসতে আগ্রহী নয়। আবার, হলে ৫০ শতাংশের কম শিক্ষার্থী থাকায় অথরিটি থেকে হল ডাইনিং চালু করা হচ্ছে না।এতে আরও বলা হয়, অহর্নিশ ১৯ হলে উপস্থিত শিক্ষার্থী এবং ঢাকায় অবস্থানকারী এটাচদের নিয়ে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলন এর প্রতি একাত্মতা পোষণ করে আজ দুপুর ১২টায় বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে একটি শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মানববন্ধনে অহর্নিশ ১৯ হাজার খানেক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আশা করছে। এই উপস্থিতির উপর নির্ভর করে অহর্নিশ ১৯ পরবর্তী কর্মসূচি বিবেচনা করবে।