ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রআগামীকাল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণশপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতিহিট অ্যালার্ট আরও তিন দিন বাড়তে পারেরাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথে অবরোধ চলছে
No icon

বাংলাদেশ হারাবে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য সুবিধা

এবারের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অগ্রাধিকার পায়নি স্বল্পোন্নত দেশগুলোর স্বার্থ। এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলো বাণিজ্য সুবিধা হারিয়ে সমস্যায় পড়বে বলে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। তবে তাদের এই সমস্যা মোকাবিলা করা বা সুবিধাগুলো অব্যাহত রাখার বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় এলডিসি-পরবর্তী সময়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেদেরই প্রস্তুত হতে হবে। কারণ, ২০২৬ সালে যে ১২ দেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশ হবে, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ।গতকাল রোববার রাজধানীর সিরডাপে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত সংলাপে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। গত জুনে জেনেভায় অনুষ্ঠিত ডব্লিউটিওর মন্ত্রী পর্যায়ের ১২তম সম্মেলনের ফলাফল এবং এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ বিষয়ক সংলাপটি আয়োজনে সহযোগিতা করে ফ্রেডরিখ-এবার্ট-স্টিফটাং (এফইএস) বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর দাবিদাওয়া ডব্লিউটিওর বৈঠকে উপেক্ষিত হয়েছে। অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে উন্নত ও ধনী দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডাগুলোকে। তিনি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশসহ মোট ১২ দেশের এলডিসি থেকে উত্তরণ হবে। এর ফলে ইইউর দেশগুলোতে যে রপ্তানি আয় কমবে, তার ৯০ শতাংশই কমবে বাংলাদেশের। অগ্রাধিকার বাজারে প্রবেশের গতি কমিয়ে, ওষুধের বাজারে ট্রিপস কে কাজে লাগাতে হবে। ধীরে ধীরে নগদ প্রণোদনার হারও কমিয়ে আনতে হবে। অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, বাংলাদেশের প্রধান এজেন্ডা এলডিসি উত্তরণ। এর আগে উত্তরণ পাওয়া ছয়টি দেশ জনসংখ্যা ও অর্থনীতির আকারের দিক থেকে ছোট। তবে অর্থনীতি ও জনসংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান বৃহৎ। সেই বিবেচনায় বাংলাদেশের উত্তরণ বড় সাফল্য।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ডব্লিউটিও এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে। বিশেষ করে বাজার সুবিধার মাধ্যমে রপ্তানির উন্নতি করা সম্ভব হয়েছে। তবে এলডিসি উত্তরণের পর অনেক সুবিধাই হারাতে হবে। বিশেষ করে রপ্তানি খাতে প্রায় ৯০ শতাংশ সুবিধা হারাতে হবে। ডব্লিউটিওর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এসব আলোচনা হয়েছে। তবে বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া কিংবা উদ্ভূত সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য সহায়তামূলক কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ফোরামে সরকারকে বাংলাদেশের স্বার্থ নিয়ে একচেটিয়া আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। রপ্তানির সক্ষমতা টেকসই ও উন্নত করতে হলে প্রতিযোগিতা, দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। এ ছাড়া দেশ উন্নয়নশীলের দিকে যাচ্ছে, এ চিন্তা মাথায় রেখে এগুতে হবে। এ ক্ষেত্রে আঞ্চলিক দেশগুলোর সহযোগিতা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক চুক্তি ও দেশের ভেতরে কিছু প্রস্তুতি নিতে হবে।