ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রআগামীকাল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণশপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতিহিট অ্যালার্ট আরও তিন দিন বাড়তে পারেরাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথে অবরোধ চলছে
No icon

৯ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি

প্রতিষ্ঠানগুলোর চলতি ও স্থায়ী মূলধনের পরিমাণও জানা দরকার। এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো অর্থ সরিয়েছে কি-না তাও জানা দরকার বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তথ্য জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়নি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুন মাসে ইভ্যালির ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। সেখানে ইভ্যালির সম্পদের চেয়ে ছয় গুণ বেশি দেনা বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিবেদনে উঠে আসে ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছে ২১৪ কোটি টাকা, আর মার্চেন্টদের কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নিয়েছে ১৯০ কোটি টাকার। স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৪ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা। কিন্তু সম্পদ আছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকা। এছাড়া গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত ইভ্যালি গ্রাহকের কাছ থেকে পণ্য মূল্য বাবদ অগ্রিম ২১৪ কোটি টাকা নিয়েও পণ্য সরবরাহ করেনি। আবার মার্চেন্টদের কাছেও কোম্পানিটির বকেয়া ১৯০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ ইভ্যালির নেওয়া অগ্রিম ৩৩৯ কোটি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

এদিকে অগ্রিম টাকা নিয়েও পণ্য বা অর্থ ফেরত না দেওয়ায় গত আগস্ট ই-অরেঞ্জের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে ১১শ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে মামলা হয়েছে। তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় এ মামলা করেন। মামলার আসামিদের মধ্যে ই-অরেঞ্জের মূল মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান এবং প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা আমানউল্লাহ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।