তানজানিয়ায় ভারী বৃষ্টি-ভূমিধসে নিহত ১৫৫মাসের শুরুতে বৃষ্টির আভাস, গরম কমা নিয়ে সংশয়ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রআগামীকাল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণশপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি
No icon

শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রাখতে তহবিল সংক্রান্ত গেজেট

অবণ্টিত নগদ লভ্যাংশের (নগদ অর্থ) ৪০ শতাংশ সরাসরি শেয়ার কেনাবেচার জন্য সংরক্ষণের বিধান রেখে বহুল আলোচিত শেয়ারবাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিল গঠন সংক্রান্ত আইনি বিধানের গেজেট প্রকাশ করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত ৩০ জুন এ গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানি এবং মেয়াদি বা বেমেয়াদি সব মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদিত লভ্যাংশের (নগদ বা স্টক) যতটুকু অন্তত তিন বছর অবণ্টিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, সেই নগদ অর্থ এবং শেয়ার নিয়ে এ তহবিল গঠন করার কথা বলা হয়েছে।আইপিও বা রাইট শেয়ার ক্রয়ের জন্য প্রদত্ত অর্থ বা শেয়ার অবণ্টিত থাকলে তাও এ তহবিলে আসবে। এর বাইরে চাইলে তহবিলে সরকার বা অন্য কেউ অনুদান দিতে পারবে। এ তহবিল চাইলে সরকার বা অন্য কারও কাছ থেকে ঋণও নিতে পারবে। আইনি বিধানে বলা হয়েছে, এ তহবিলটি হবে পারপেচ্যুয়াল বা আজীবনের জন্য। তহবিলটি শেয়ারহোল্ডারদের অবণ্টিত লভ্যাংশের হেফাজাতকারী হিসেবে কাজ করবে। তবে সব লভ্যাংশ বণ্টন হয়ে গেলে এ তহবিল বিলুপ্ত করা যাবে। তহবিলটি ব্যবস্থাপনা ও এর যাবতীয় দায় থাকবে এর ১১ সদস্য বিশিষ্ট বোর্ড অব গভর্নরসদের।

গেজেট প্রকাশের এক মাসের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে বিএসইসি প্রথম বোর্ড অব গভর্নরস গঠন করে দেবে। এ বোর্ড তিন বছর দায়িত্ব পালন করবে। পরবর্তী বোর্ড বিএসইসি, স্টক এক্সচেঞ্জ, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সংগঠন থেকে মনোনীত হবে। এ তহবিল গঠনের পর যখনই কোনো বিনিয়োগকারী বা তার পক্ষে নমিনি লভ্যাংশ দাবি করবেন, সর্বোচ্চ ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তার প্রাপ্য পরিশোধ করতে হবে।একই সঙ্গে শেয়ারবাজারে কখনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হলে, তখন এ তহবিল থেকে সরাসরি শেয়ার কেনাবেচা বা বাজার মধ্যস্থতাকারীদের (ব্রোকার ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংক, মার্কেট মেকার, সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি ইত্যাদি) ঋণ দিয়ে বাজারকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা যাবে। এর অর্থ এই নয় যে, এ তহবিল থেকে যেকোনো সময় যেকোনো শেয়ার কেনাবেচা করা যাবে। তহবিলটির গঠন সংক্রান্ত আইনি বিধানে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতার রক্ষার স্বার্থে তহবিল পরিচালনাকারীরা তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন।