বৃষ্টির পর আগামী সপ্তাহে আবার তাপপ্রবাহের শঙ্কানারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা আজদেশের ৮ বিভাগে হতে পারে টানা বৃষ্টিবিশ্ব কাঁপছে বিক্ষোভেআপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চে বিচারকাজ চলবে আজ থেকে
No icon

স্বর্ণ আমদানিতে আগ্রহ নেই

দেশে সোনার ব্যবসা এখনও চোরাচালাননির্ভর। সুযোগ থাকলেও আমদানি হচ্ছে খুবই কম। বেশিরভাগই আসছে চোরাই পথে। এজন্য গড়ে উঠেছে বিশাল এক সিন্ডিকেট। এর আওতায় আছে একটি ক্যারিয়ার বাহিনী।এ সিন্ডিকেট ব্যাগেজ রুলের আওতায় বৈধভাবে এবং চোরাচালানের মাধ্যমে অবৈধসহ নানা উপায়ে সোনা আমদানি করছে। ফলে একদিকে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা পাচার হয়ে যাচ্ছে।জানা গেছে, প্রতিটি সোনার বার শুল্ককর দিয়ে আনা হলেও বাজারমূল্যের চেয়ে গড়ে ১০ হাজার টাকা দাম কম পড়ে। আবার সোনার বারে খাদ মেশানোর পর মূল্য সংযোজন আরও বেশি হয়।এ কারণে যাত্রীদের মাধ্যমে এক-দুটি করে সোনার বার নিয়ে আসছেন সোনা ব্যবসায়ীরা। কারণ সরকারকে রাজস্ব দিয়ে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের মাধ্যমে সোনার বার আনার ক্ষেত্রে শুল্ক কর বাবদ বাড়তি খরচ হলেও ঝুঁকি অনেক কম।

এজন্য এখন যাত্রীদের মাধ্যমে ব্যাগেজ রুলের আওতায় বৈধভাবে সোনার বার আনার ঘটনা বাড়ছে।ব্যাগেজ রুলের আওতায় একজন যাত্রী বৈধভাবে শুল্ক-কর দিয়ে সর্বোচ্চ ২০ ভরি বা দুটি সোনার বার আনতে পারেন। এজন্য প্রতি ভরিতে (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) শুল্ক-কর দিতে হয় ২ হাজার টাকা।সোনার বারের বাইরে ১০০ গ্রাম ওজনের (প্রায় সাড়ে আট ভরি) স্বর্ণালঙ্কার আনতে পারবেন বিনা শুল্কে। এর আওতায় বিদেশ থেকে আসা শ্রমিক বা অন্য কোনো যাত্রীর কাছে ওই সিন্ডিকেট এসব সোনা দিয়ে দিচ্ছে।দেশে আসার পর কাস্টমস পার হওয়ার পরই ওই সোনা সিন্ডিকেটের হাতে চলে যাচ্ছে। এভাবে এখন দেশে সোনা আসছে।সোনার ব্যবসা বৈধতার মধ্যে আনতে ২০১৮ সালে সরকার সোনা নীতিমালা করে। ওই নীতিমালার আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খুলে সোনা আমদানি করতে পারে।কিন্তু আমদানিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ একেবারেই কম। নীতিমালার আওতায় গত এক বছরে ২৫ কেজি সোনা আমদানি করেছে মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান। আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আমদানির জন্য এলসি খুলেছে।

এক বছরে ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণ সোনা আমদানি করেছেন, তার চেয়ে ৪৩ গুণ বেশি সোনা চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে এক মাসে এনেছেন প্রবাসীরা।নভেম্বরে এ বিমানবন্দর দিয়ে ৯৩ হাজার ৬৭০ ভরির সমপরিমাণ ৯ হাজার ৩৬৭টি সোনার বার এসেছে, কেজির হিসাবে যার পরিমাণ ১ হাজার ৯২ কেজি বা এক টনের বেশি।সূত্র জানায়, বৈধপথে আমদানির সুযোগ দেয়ার পরও দেশে সোনা চোরাচালান থামছে না। প্রায় প্রতিদিনই দেশে সোনার চোরাচালান ধরা পড়ছে।