বাংলাদেশি রোগী উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় ভারতের হাসপাতাল ব্যবসায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সংগঠন জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে রোগী যাওয়া প্রায় ৭০ শতাংশ কমে গেছে। যেসব হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের ওপরে অনেকটাই নির্ভরশীল ছিল, তাদের কাছে এটি একটি বড় ধাক্কা।জানা গেছে, বাংলাদেশি রোগী কমে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরাসহ ভারতের সব হাসপাতালেই ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।গত আগস্ট মাসের শুরুতে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ওই মাস থেকেই বাংলাদেশি রোগীদের ভারতে যাওয়া ব্যাপকভাবে কমে যায়।অ্যাসোসিয়েশন অব হসপিটালস অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ও কলকাতার উডল্যান্ডস হসপিটালের প্রধান নির্বাহী অফিসার রূপক বড়ুয়া বলেন, আগে প্রতিমাসে গড়ে ভারতের মেডিকেল ভিসা দেওয়া হতো ২০-২৫ হাজার। এখন সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৭০০ থেকে এক হাজার। তাও মূলত নতুন রোগী নয় পুরনো রোগী যাদের চেকআপ ইত্যাদি আছে, তারাই ভিসা পাচ্ছেন। তাই পুরো ভারতের হাসপাতাল শিল্পের ওপরেই বড় ধাক্কা এসেছে।ভারতের অন্যতম বৃহৎ হাসপাতাল গোষ্ঠী মনিপাল হসপিটালসের পূর্বাঞ্চলীয় চিফ অপারেটিং অফিসার ডা. অয়নাভ দেবগুপ্তর কথায়, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে বাংলাদেশ থেকে বহু রোগী ভারতের হাসপাতালগুলোতে আসতে পারছেন না। আমাদের হাসপাতালগুলোতেও বহির্বিভাগ এবং রোগী ভর্তি কমে গেছে। কিন্তু আগে থেকে ঠিক করে রাখা কোনও অপারেশন আমাদের পিছিয়ে দিতে হয়নি। তবে আমাদের যারা পুরনো রোগী, তাদের চিকিৎসায় যাতে ছেদ না পড়ে, সেজন্য আমরা টেলি-মেডিসিনের ব্যবস্থা করেছি। অনলাইন কনসাল্টেশনের সংখ্যাটা বাড়ছে, জানান ডা. দেবগুপ্ত।গতবছর ভারতে চিকিৎসা নিতে বাংলাদেশ থেকে গিয়েছিলেন প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ। ভারতে যত বিদেশি নাগরিক চিকিৎসা করাতে যান, তাদের মধ্যে বাংলাদেশিই সর্বাধিক।