তানজানিয়ায় ভারী বৃষ্টি-ভূমিধসে নিহত ১৫৫মাসের শুরুতে বৃষ্টির আভাস, গরম কমা নিয়ে সংশয়ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রআগামীকাল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণশপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি
No icon

মেঘনায় ইলিশ, কেজি ৬০০ টাকা!

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। ইলিশের দ্বিতীয় বড় বাজার নামে পরিচিত উপজেলার ৯টি মাছঘাটে বেড়েছে ইলিশের আমদানি। মাছঘাটগুলোতে ৬০০-১০০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ মাছ বিক্রি হতে দেখা গেছে।মঙ্গলবার ও বুধবার এ বাজারে ইলিশ এসেছে প্রায় এক হাজার মণ। তবে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়ায় ইলিশের দাম আপাতত কমছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।রায়পুরের মেঘনাপাড়ের জেলেরা ৯টি মাছঘাটে রায়পুর, লক্ষ্মীপুর সদর, ভোলা, বরিশাল, শরীয়তপুর ও চাঁদপুরের বহু জেলে মাছ বিক্রি করে থাকেন। সরেজমিন কয়েকটি ঘাট ঘুরে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া গেছে এ তথ্য।রায়পুরের মাছঘাটগুলো হলো- চর জালিয়ার গ্রামে সাইজুদ্দিন মোল্লা মাছঘাট, চর ইন্দুরিয়া আলতাফ মাস্টারের মাছঘাট, আলতাফ মাস্টারের বাহিরের ঘাট, পুরান বেড়ি মাছঘাট, দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের হাজীমারা মাছঘাট, পানিরঘাট মাছঘাট, মিয়ারহাটে রাহুল মাছঘাট, টুনুর চরে দিদার মোল্লা মাছঘাট। এগুলোর মধ্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ মাস্টারের মালিকানায় উত্তর ও দক্ষিণ চরবংশীতে ৪টি। নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৭ হাজার ৫০০। এদের মধ্যে জাটকা জেলে বা নদীর ওপর নির্ভরশীলদের মধ্যে রয়েছেন ৬ হাজার ৮৫০ জন।

চরবংশী আলতাফ মাস্টার ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদিন বলেন, ভারতে মাছ রফতানির অনুমতি দেওয়ায় এলসির মাধ্যমে সে দেশে মাছ যাবে শুনেছি। ইতোমধ্যে রায়পুরের কয়েকটি মাছঘাট থেকে ঢাকার ব্যবসায়ীরা মাছ কেনা শুরু করেছেন। সে কারণে মাছের দাম তুলনামূলক বেশি। মেঘনার রায়পুরের অংশে ইলিশ খুব কম। তবে বরিশাল, ভোলা, হাতিয়া, চাঁদপুরের অঞ্চল থেকে ইলিশের আমদানি বেড়েছে।বাজারে বর্তমানে ৪০০-৭০০ গ্রামের উপকূলীয় ইলিশ প্রতি মণ ১৪ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকা (সর্বোচ্চ ৫৭০ টাকা কেজি), ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি মণ ২৫ হাজার থেকে ৩০-৩২ হাজার টাকায় (সর্বোচ্চ ৮৫০ টাকা কেজি) এবং এক কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৪০ হাজার থেকে ৪২ হাজার টাকা (সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা কেজি) বিক্রি হচ্ছে। তবে রায়পুর মেঘনা নদী অঞ্চলের প্রতি মণ ইলিশ আরও প্রায় পাঁচ হাজার টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আড়তের মালিকরা।