সাগরে নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেতগাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৭ ফিলিস্তিনি নিহতচব্বিশের নির্বাচনে অংশ নেওয়া সদস্যকে অব্যাহতি দিল নাগরিক কমিটিবৃষ্টি হতে পারে দেশের কয়েক জায়গায়, কমতে পারে রাতের তাপমাত্রাকায়রোতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মালয়েশিয়ার মন্ত্রীর সাক্ষাৎ
No icon

আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’, আঘাত হানবে কোথায়?

যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মিল্টন । দ্রুত বড় হারিকেনে পরিণত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার উপকূলে এ হারিকেন আঘাত হানতে পারে। ফ্লোরিডার বাসিন্দাদের ইতোমধ্যে সতর্ক করা হয়েছে এবং নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে।রবিবার (০৬ অক্টোবর) ভোরে মিল্টন ফ্লোরিডার টেম্পা থেকে প্রায় ১ হাজার ৩৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। পরবর্তীতে এটি ঘণ্টায় ৭ কিলোমিটার বেগে পূর্বদিকে অগ্রসর হয়। ঝড়টি ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার গতি নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে। মিয়ামির ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের বরাতে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্ভবত ফ্লোরিডার জনবহুল টাম্পা বে এলাকার কাছে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় মিল্টন।বাসিন্দাদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলে ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মিল্টন ঠিক কোথায় আঘাত হানবে তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে ফ্লোরিডার উপকূল দিয়েই এটি স্থলভাগে উঠে আসবে। আঘাত হানা সম্ভাব্য অঞ্চলগুলো থেকে ৭ ও ৮ অক্টোবরের মধ্যে বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলক ও স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

রবিবার ফ্লোরিডাবাসীর উদ্দেশ্যে ডিস্যান্টিস বলেন, আজ (রবিবার) সারাদিন, সোমবার সারাদিন, সম্ভবত মঙ্গলবার সারাদিন হারিকেন মোকাবিলার প্রস্তুতির সময় আছে। আপনাদের কোথায় নিরাপদে চলে যেতে হবে সে স্থান সম্পর্কে জানুন সেখানে আপনাদের বাধ্যতামূলক ও স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ৪ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সেনা ফ্লোরিডা ডিভিশন অব ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এবং ফ্লোরিডা ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশনকে হারিকেন হেলেনের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করতে সাহায্য করছে।এর আগে, গত মাসের শেষদিকে ফ্লোরিডার বিগ বেন্ড উপকূলে আঘাত হানে হারিকেন হেলেন। ওই সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ মাইল। হারিকেনের তাণ্ডবে প্রাণহানির পাশাপাশি বিগ বেন্ড ও আশপাশের এলাকার অসংখ্য গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। সেই সঙ্গে বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি শত শত রাস্তা ডুবে যায়।