বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এই অবস্থায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সাগর উত্তাল থাকায় ইতোমধ্যে অনেক ট্রলার ঘাটে এলেও এখনো অনেক ট্রলার সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া মো. ইউনুস মাঝি, ইছাহাক মাঝি, রফিকুল মাঝির বরাত দিয়ে এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মালিক আলীম হাওলাদার বলেন, সাগরে নিম্নচাপ হওয়ায় আজ সকাল থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন কটকা, নারিকেল বাড়িয়া, মেহের আলী, ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় নোঙর করেছে। তিনি ওই জেলেদের বরাত দিয়ে আরও বলেন, এখন পর্যন্ত না আসছে তারা নিরাপদে আছে, তবে এখনো কিছু ট্রলার নিরাপদে আসতে পারেনি।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, কিছু ট্রলার ঘাটে আসছে, এখনো অনেক ট্রলার সাগরে রয়েছে। তবে কিছু ট্রলার সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে নোঙর করে আছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্ব্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।