দুর্নীতি ও লুটপাট লুকিয়ে রাখতেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে : রুহুল কবির রিজভীবাংলাদেশসহ ছয় দেশে সীমিত পরিমাণে পিঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারততাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ খুলছে স্কুল-কলেজযুদ্ধবিরতি সম্পর্কে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেলো হামাসঝুম বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরলো সিলেটে
No icon

এবার দাপট দেখাবে গরম

শীতের মতো গরমেও এবার আবহাওয়ার বিরূপ আচরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। আগামী তিন মাসের আবহাওয়া পরিস্থিতি বিষয়ক আগাম বার্তায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। এ ছাড়া শিলাবৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড়, মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ এবং বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার বার্তা দিয়েছে সংস্থাটি।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগামী তিন মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বঙ্গোপসাগরে ২ থেকে ৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে। এ ছাড়া দেশের পশ্চিম, উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ৪ থেকে ৮ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হাল্কা অথবা মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। এর বাইরেও দেশে ৩ থেকে ৫টি মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। উল্লেখ্য, তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে মৃদু তাপপ্রবাহ এবং ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে মাঝারি তাপপ্রবাহ ধরা হয়।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, আগামী ২০ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশের রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বর্তমানে ধীরে ধীরে গরম পড়া শুরু হয়েছে জানিয়ে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ভোর রাতের দিকে শীত থাকে। এই সময়টাতে আবহাওয়ার ট্রানজিট পিরিয়ড চলছে। এ জন্যই শীত ও গরম পড়ছে। আগামী ২৭ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একই রকম অবস্থা বিরাজ করবে। এর পর থেকে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। মার্চের প্রথম দিক থেকে তাপমাত্রার দাপট অনুভব করা যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, বর্তমানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যে অবস্থায় থাকার কথা, তার থেকে ওপরে আছে। গত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যে পর্যায়ে থাকার কথা ছিল তার থেকে বেশি ছিল। তার মানে আমরা এবার ওয়ার্ম উইন্টার পার করলাম। এই ওয়ার্ম উইন্টারের মধ্যেই আমরা একটা তীব্র শীত পার করলাম। সুতরাং আমাদের এখন ওয়ার্মিং পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো বার্তা দিচ্ছে না বলে মনে করেন আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, গত জানুয়ারিতে যে শীত অনুভূত হয়েছে, সেটা আমাদের চিন্তার বাইরে ছিল। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জন্য এটা হয়েছে। সুতরাং গরমেও এ রকম ওয়ার্মিং পরিস্থিতি আসবে। সার্বিক পরিস্থিতি হিসাব করলে এবার গরমের তীব্রতা বেশি থাকবে। এর ফলে গরমের হ্যাজার্ড আবির্ভূত হবে। যেগুলো নতুন কোনো এরিয়াতে বেশি প্রভাব বিস্তার করবে। যেহেতু জানুয়ারিতে ওয়ার্ম উইন্টার পার করেছি, সেহেতু মার্চের শেষে তীব্র গরম পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।