চলতি জানুয়ারি মাসে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। তবে শৈত্যপ্রবাহ তীব্র্র আকার ধারণের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি এই পূর্বাভাস দিয়েছে। গতকাল রবিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকার ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।আজিজুর রহমান বলেন, জানুয়ারি মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসে দেশে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে একটি মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে।জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদনদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা বা মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশা পরিস্থিতি কখনো কখনো দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।আবহাওয়া অধিদপ্তর ডিসেম্বর মাসের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডিসেম্বর মাসে সার্বিকভাবে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৬৬ দশমিক ৬ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এদিকে দেশের সর্ব-উত্তরের হিমালয় কন্যাখ্যাত পঞ্চগড় জেলায় এবার শীত মৌসুমের প্রথমবারের মতো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর ;্যাবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ও সিলেটের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত বছর একই দিনে (২০২২ সালের ১ জানুয়ারি) তেঁতুলিয়ায় সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এদিকে গত শনিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত শুক্রবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।আবহাওয়াবিদরা বলছেন, কোনো এলাকায় তাপমাত্রা যদি ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে টানা তিন দিন অবস্থান করে, তা হলে ওই এলাকার ওপর দিয়ে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। কনকনে হাঁড় কাঁপানো তীব্র শীতে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। ঘন কুয়াশায় জেলার সড়কগুলোতে যানবাহন চালাতে বিপাকে পড়েন চালকরা। দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহন চালাতে হয় হেডলাইট জ্বালিয়ে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যেবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ্ জানান, তেঁতুলিয়ায় আকাশের উপরিভাবে ঘন কুয়াশা এবং হিমেল বাতাস থাকায় রোদের তীব্রতা নাই। এ জন্য প্রায় সারাদিনই শীত অনুভূত হচ্ছে। এখন থেকে পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।