সাধারণত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দেশে শীতের আবহ শুরু হলেও জানুয়ারি মাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দেখা যায়। এবার ডিসেম্বরে তাপমাত্রা কমার হার কিছুটা কম থাকলেও অব্যাহতভাবে তা কমে আসার সম্ভাবনা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ বুধবার রাতের তাপমাত্রা আরো ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে আসবে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় তাপমাত্রা আরো হ্রাস পেতে পারে।গতকাল মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায় ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যত্র রাতের তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করেছে। ফলে মাসের শেষের দিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে। এতে কোথাও কোথাও শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।আবহওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির কালের কণ্ঠকে বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ডিসেম্বরে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি ছিল। তবে আগামী দুই-তিন দিনে এই তাপমাত্রা আরো ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। এ ছাড়া জানুয়ারি মাসের ৪/৫ তারিখের দিকে তাপমাত্রা আরো কমে আসবে।এদিকে বুধবার ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানিয়েছে অধিদপ্তর। দেশের অন্য এলাকায় অস্থায়ীভাবে আকাশ মেঘলা থাকবে।
সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে শীতের প্রকোপ এখন পর্যন্ত সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও হাসপাতালগুলোতে সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়োবৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সকাল থেকে প্রায় দুপুর পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে চারদিক। গতকাল দুপুরে লালমনিরহাট জেলার তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ।লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের শিশুরোগ পরামর্শক ডা. তপন কুমার রায় বলেন, শীতের কারণে শিশুদের ডায়রিয়া বেড়ে গেছে। পাশাপাশি নিউমোনিয়াসহ অন্যান্য রোগীও আসছে হাসপাতালে। কম জনবল নিয়ে আমাদের চাপ সামলাতে হচ্ছে।পঞ্চগড়ে কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তেরের ঠাণ্ডা বাতাস জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পথঘাট। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো। ঘটছে দুর্ঘটনাও। জেলার হাসপাতালগুলোতেও বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। ১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে দ্বিগুণ রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, নিম্নচাপের কারণে আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা একই রকম থাকবে। এরপর শীতের তীব্রতা আরো বাড়বে। জানুয়ারির প্রথম দিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে।