দুপুরের মধ্যে চার অঞ্চলে ঝড়ের আশঙ্কাসরাসরি এএসআই পদে নিয়োগ চেয়েছে পুলিশআমিরাতের কাছে সিরিজ হারের লজ্জা বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই হওয়া উচিতঈদের ছুটিতেও খোলা থাকবে সব কাস্টম স্টেশন
No icon

আমিরাতের কাছে সিরিজ হারের লজ্জা বাংলাদেশের

সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে বাংলাদেশের রেকর্ড ২০৫ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি গড়েই বার্তা দিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। শেষ ম্যাচে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে বিপর্যয়ে ফেলে ইতিহাস গড়ার পথ তৈরি করে তারা। জাকের আলী ও হাসান মাহমুদের দৃঢ়তায় ৯ উইকেটে লড়াইয়ের ১৬২ রানের পুঁজি পেলেও লড়াই জমাতে পারেনি বাংলাদেশ। আমিরাতের কাছে ৫ বল থাকতে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছেন লিটন দাসরা। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের লজ্জায় ডুবেছে।এই জয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়ল সংযুক্ত আরব আমিরাত। সঙ্গে টেস্ট খেলুড়ে কোন দেশের বিপক্ষে প্রথমবার টি-২০ সিরিজ জিতে ইতিহাস লিখল। আমিরাতের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের ট্রানজিট সিরিজ ছিল। পাকিস্তানে যাওয়ার আগে দুবাইয়ে যেহেতু নামতেই হতো। প্রস্তুতির সিরিজ খেলতে অনুরোধ করেছিল বিসিবি। এমনকি সিরিজের শেষ ম্যাচও অনুরোধ করে বাড়ানো হয়েছিল। তাতে লজ্জা সঙ্গী হলো বাংলাদেশের।

বুধবার রাতে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয়বারের মতো টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ রানে ৫ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। ওপেনার পারভেজ ইমন গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরে যান। তিনে নামা লিটন ১০ বলে এক চার ও ছক্কায় ১৪ রান করেন। তিন ম্যাচেই সেট হয়ে সাজঘরে হাঁটা দেন তিনি। চারে নামা তাওহীদ হৃদয় ২ বলে শূন্য ও সহঅধিনায়ক শেখ মাহেদী ৯ বলে ২ রান করে ফিরলে বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের। ওপেনার তামিম ১৮ বলে ৪০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেললেও বিপদ বাড়া বৈ কমেনি। তিনি চারটি করে চার ও ছক্কার শট মেরে ফেরেন।হাল ধরতে ব্যর্থ হন শামীম পাটোয়ারি, রিশাদ হোসেনরাও। স্লগার শামীম সাতে নেমে ১২ বল খেলে ৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। পরেই স্পিনের বিপক্ষে ভালো ব্যাট করা রিশাদ আউট হন শূন্য করে। বাংলাদেশ ৭১ রানে হারায় ৭ উইকেট। তানজিম সাকিব আউট হন দলের ৮৪ রানে। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ৬ রান। পরের রানগুলো এসেছে জাকের আলী ও হাসান মাহমুদের কারণে। জাকের ৩৪ বল খেলে ৪১ রানের দরকারি ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে তিনটি ছক্কা ও একটি চারের শট আসে। পেসার হাসান ১৫ বলে তিন ছক্কায় ২৬ রান করেন। ৭ বলে ১৭ রান করেন শেষ ব্যাটার শরিফুল। শেষ ৩ ওভারে বাংলাদেশ ৫৩ রান তুলেছে। এর মধ্যে আমিরাত অধিনায়ক ওয়াসেমের করা শেষ ওভার থেকে তুলে নেয় ২৬ রান।

বাংলাদেশের রান লড়াই করার মতো হলেও জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না, তা প্রমাণ করেছে স্বাগতিক আরব আমিরাত। ১৪ রানে তারা প্রথম উইকেট হারায়। ওপেনার ও অধিনায়ক ওয়াসেম ফিরে যান। ১০.৪ ওভারে ৭৯ রানে চতুর্থ উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে বাকি রান নির্বিঘ্নে তুলে ফেলেন আলিশান শারাফু ও আসিফ খান। এর মধ্যে আলিশান ৪৭ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন। আসিফ ২৬ বলে পাঁচ ছক্কায় ৪১ রান যোগ করেন।বাংলাদেশের টি-২০ বিশেষজ্ঞ বোলার হিসেবে খেলা শেখ মেহেদী প্রথম ম্যাচের মতো শেষ ম্যাচেও হতাশ করেছেন। তিনি শারজাহর ধীর ও নিচু উইকেটে নতুন বল হাতে নিয়ে ব্রে থ্রু তো দিতেই পারেননি বরং ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়েছেন। তানজিম সাকিব দ্বিতীয় ম্যাচের মতো সিরিজ হারের ম্যাচেও বাজে বোলিং করেছেন। ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়া এই ক্রিকেটার না বোলারের ভূমিকা পালন করেছেন, না ব্যাটারের। অথচ তিনি খেলেন অলরাউন্ডার কোটায়। হাসান মাহমুদ ৩.১ ওভারে দেন ৩৩ রান। ভালো বোলিং করেছেন শরিফুল ইসলাম। তিনি ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। রিশাদ ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে একটি ব্রেক থ্রু দিয়েছিলেন।