ব্রিসবেনের গ্যাবায় ভারত-অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে বৃষ্টি নেমেছে আর থেমেছে ৯ বার। সোমবার সারাদিনে খেলা হয় মাত্র ৩৩.১ ওভার। নিজেদের প্রথম ইনিংসে অজিদের পেস তোপে ৫১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছে ভারতীয়রা।
স্টিভ স্মিথ আর ট্রেভিস হেডের সেঞ্চুরিতে রোববারই ৪০০ পেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় দিনে বৃষ্টির দাপটের মুখে অ্যালেক্স ক্যারির ফিফটিতে আরও ৪০ রান যোগ করে অজিরা। স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৪৫ রানে। দফায় দফায় বৃষ্টির মধ্যে জবাব দিতে নেমে অজি পেসারদের গতি আর বাউন্সারের মুখে খেই হারিয়ে ফেলে সফরকারী ভারত। অ্যাডিলেড টেস্টের পিঙ্ক বলের ধারাবাহিকতা এই টেস্টেও বজায় রেখেছেন মিচেল স্টার্ক। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই এই অজি পেসারের বলে মিড-উইকেটে থাকা মিচেল মার্শের হাত ক্যাচ তুলে দেন ভারতীয় ওপেনার যশস্বী জসওয়াল। স্টার্কের ফুল লেন্থ ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে মার্শের হাতে তালুবন্দি হন তিনে নামা শুভমান গিলও। দ্রুতই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। বিপদের দিন ভারতকে বাঁচাতে পারেননি বিরাট কোহলিও। মাত্র ৩ রানে হ্যাজেলউডের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। কোহলির আউটের পরই বৃষ্টির কারণে লাঞ্চ দিয়ে দেয়া হয়। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই আবারো বৃষ্টি নামলে বন্ধ হয় খেলা। বল মাঠে গড়ালে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের বলে ব্যক্তিগত ৫ রানে বিদায় নেন ঋষভ পান্তও। ব্রিসবেনে ২০২১ এ টেস্ট জিতিয়ে যিনি ভারতকে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ধরে রাখতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন, সেই পান্ত এবার দুর্দশা দেখছেন একই মাঠে। সংবাদ সম্মেলনে গিল ‘অজি বোলারদের ভয় পাই না’ বললেও বাস্তবে ভারতীয় ব্যাটারদের কাঁপিয়ে দিয়েছেন স্টার্ক-কামিন্সরা। গিল, জসওয়াল, কোহলি, পান্তদের কেউই ছুঁতে পারেনি দুই অঙ্কের রান। এরপরে বৃষ্টির দাপটে দুই ঘণ্টার বেশি সময় চলে যায় বিরতিতে। দিনের শেষভাগে কয়েক ওভার বল করার সুযোগ পায় স্পিনাররা। তবে আরও এক দফা বৃষ্টি আর অন্ধকার হয়ে যাওয়ার কারণে তৃতীয় দিনের খেলার সমাপ্তি ঘোষণা করতে হয় এখানেই। ভারতের বিপাকের দিনে তাদের একমাত্র আশার আলো হয়ে ছিলেন ওপেনার লোকেশ রাহুল। ডানহাতি এই উইকেটকিপার-ব্যাটার অপরাজিত রয়েছেন ৩৩ রানে। যদিও ইনিংসের শুরুতেই বাঁহাতে চোট পান তিনি। আরেক প্রান্তে শূন্য রানে রয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ১৭ ওভার খেলে ৫১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে ভারত। স্বাগতিকদের চেয়ে ৩৯৪ রানে পিছিয়ে থেকে ফলো-অনে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে সফরকারীরা।