সাগরে নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেতগাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৭ ফিলিস্তিনি নিহতচব্বিশের নির্বাচনে অংশ নেওয়া সদস্যকে অব্যাহতি দিল নাগরিক কমিটিবৃষ্টি হতে পারে দেশের কয়েক জায়গায়, কমতে পারে রাতের তাপমাত্রাকায়রোতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মালয়েশিয়ার মন্ত্রীর সাক্ষাৎ
No icon

ব্যাটে-বলে বাংলাদেশকে বিধ্বস্ত করে ভারতের সিরিজ জয়

ভারতের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে শুরুতে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে উড়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে তাই টসে জিতে ফিল্ডিং নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে ফলাফল সেই একই; বাজেভাবে হার।দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশের হার ৮৬ রানে। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানে থামে বাংলাদেশ। এই হারের সঙ্গে সিরিজ জয়ের আশাও ত্যাগ করতে হলো টাইগারদের। আগামী ১২ অক্টোবরের শেষ ম্যাচটি তাই পরিণত হলো শুধুই আনুষ্ঠানিকতায়।২২২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদম মন্দ করেনি বাংলাদেশ। ২ ওভারেই তুলে ফেলে ২০ রান। তৃতীয় ওভার থেকে শুরু হয় মড়ক। আরশদীপ সিংয়ের বলে দলীয় ২০ রানেই এলোমেলো শট খেলে আউট হন পারভেজ হোসাইন ইমন। তাও প্রথম ৪ ওভারে ওই ১ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান করে বাংলাদেশ। এরপর টানা ৩ ওভারে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একে একে ফিরে যান লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ১০ ওভারে ওই ৪ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান করে বাংলাদেশ।

উইকেটে এসে টিকতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী কিংবা রিশাদ হোসেনরাও। তবে একপ্রান্ত আগলে পড়ে ছিলেন এই সংস্করণে শেষের ঘোষণা দিয়ে দেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে টি-টোয়েন্টির বিবেচনায় তার ব্যাটিংয়ের ধরন ছিল খুবই দৃষ্টিকটূ। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে ৪১ রান করে আউট হন তিনি। এর মধ্যে বাউন্ডারি বলতে ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। আর তাতে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৯ উইকেট হারিয়ে থামে ১৩৫ রানে।এদিন বোলিংয়েও সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। শুরুর ওভারে এসে মেহেদী হাসান মিরাজ ১৫ রান দিলে রানবন্যার আশঙ্কা দেখা দেয় বাংলাদেশ শিবিরে। তবে এরপর পাওয়ার প্লের বাকি ৫ ওভার করেন পেসাররা। এই সময়ে তারা রানে কিছুটা লাগাম দেন। পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান করে ভারত। রান পাননি সঞ্জু স্যামসন, অভিষেক শর্মা ও ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।

স্পিনাররা রান দিয়েছেন দুহাত ভরে। ৮ ওভারে ভারতের রান ছিল মাত্র ৬২। পরের দুই ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও রিশাদ হোসেন দিয়েছেন ৩৯ রান। প্রথম ১০ ওভারেই ১০১ রান করে ফেলে বাংলাদেশ। ভারতের রানের এই প্রবাহ আর থামানো যায়নি। যদিও তাসকিন ও মোস্তাফিজরা রানের বেশ লাগাম দিয়েছেন। চারে নামা নীতীশ ৩৪ বলে ৪টি চার ও ৭ ছক্কায় ৭৪ রান করেন। তারে পরে নামা রিংকু সিংও ছিলেন বিধ্বংসী। ২৯ বলে ৫টি চার ও ৩ ছক্কায় ৫৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শেষের দিকে ভারতের উইকেট একের পর এক পড়লেও রানের প্রবাহ থামেনি। ছয়ে নামা হার্দিক পান্ডিয়া ১৯ বলে ৩২ ও সাত নম্বরে নামা রিয়ান পরাগ ৬ বলে ১৫ রান করেন। তাতে ৯ উইকেটে ২২১ রানে থামে ভারত। বল হাতে অন্যরা যেখানে দুহাতে রান বিলিয়েছেন, সেখানে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম ছিলেন তাসকিন। ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে মাত্র ১৬ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। ৪ ওভারে ৩৬ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নিয়ে মন্দ করেননি মোস্তাফিজও। ৩ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে লেগ স্পিনার রিশাদ দিয়েছেন ৫৫ রান। আরেক দিকে উইকেটশূন্য মিরাজ ৩ ওভারে দিয়েছেন ৪৬ রান। তৃতীয় স্পিনার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৫ রান দিয়েছেন। প্রথম ৩ ওভারে ভালো করলেও নিজের শেষ ওভারে রান বিলিয়ে ৫০ রান হজম করেছেন ২ উইকেট পাওয়া তানজিম হাসান সাকিব।