ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রআগামীকাল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণশপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতিহিট অ্যালার্ট আরও তিন দিন বাড়তে পারেরাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথে অবরোধ চলছে
No icon

রোহিঙ্গা ফেরাতে জাতিসংঘের রোডম্যাপ চেয়েছে বাংলাদেশ

আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চায় বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গত বুধবার রাতে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনারের সঙ্গে বৈঠকে এই প্রত্যাশার কথা জানান।মন্ত্রী বলেন, মানবিক বিবেচনায় আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। তবে এই সংকটটির সমাধান মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনেই নিহিত। এটি গত চার বছরে সম্ভব হয়নি। আমরা চাই প্রত্যাবর্তন বিষয়ে জাতিসংঘ স্পষ্ট একটি রোডম্যাপ তৈরি করুক।পররাষ্ট্রমন্ত্রী কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থানের নেতিবাচক দিক, বিশেষ করে ওই এলাকায় বসবাসরত মূল জনগোষ্ঠীর ওপর এর বিরূপ প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, অতিসত্বর যদি প্রত্যাবাসন শুরু না হয়, তাহলে এটি কেবল এ এলাকারই সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে না, বরং তা পুরো অঞ্চল ও এর বাইরেও অস্থিরতা তৈরি করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতকে ভাসানচর প্রকল্পের কথা অবহিত করেন। তিনি বলেন, এখানে রোহিঙ্গাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। জাতিসংঘ যাতে ভাসানচরে মানবিক সহায়তা প্রদান করে সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলে বিশেষ দূতকে ভাসানচর পরিদর্শনে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান মন্ত্রী।জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনার ভাসানচর পরিদর্শনে আগ্রহের কথা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি বলেন, মিয়ানমারে যাতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযোগী অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা যায় এবং অচিরেই যাতে প্রত্যাবাসনকাজ শুরু করা যায় সে জন্য তিনি জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রসহ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের সব অংশীজনের সঙ্গে যোগাযোগ ও আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন।