দুর্নীতি ও লুটপাট লুকিয়ে রাখতেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে : রুহুল কবির রিজভীবাংলাদেশসহ ছয় দেশে সীমিত পরিমাণে পিঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারততাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ খুলছে স্কুল-কলেজযুদ্ধবিরতি সম্পর্কে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেলো হামাসঝুম বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরলো সিলেটে
No icon

ক্যাম্পে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে রোহিঙ্গারা

কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এখন থেকে ইন্টারনেট সুবিধাসহ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে। এক পরিবারে মোবাইল ফোনের দুটি সিমও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। রোহিঙ্গা কার্ড দেখিয়ে এ সিম ক্রয় করতে হবে। এতদিন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গুরুত্ব বিবেচনায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বৈধ উপায়ে মোবাইল ফোনের সুবিধা পাচ্ছিল না। এখন ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে সরকার।ক্যাম্পগুলোতে বৈধভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ থাকলেও নানা উপায়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন অপারেটরের সিম অবৈধভাবে ব্যবহার করে আসছিল। এমনকি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তারা। মিয়ানমারে থাকা স্বজনদের সঙ্গে এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তারা যোগাযোগ করে আসছিল। এসব অবৈধ উপায়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে মাদক চোরাচালানসহ নানা অপকর্মও হচ্ছিল। সিমগুলো রেজিস্ট্রেশন না থাকায় মোবাইল ব্যবহার করে অপকর্মকারী রোহিঙ্গাদের আইনের আওতায়ও নেওয়া যাচ্ছিল না। এসব বিবেচনায় মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক কার্যক্রমকে বৈধতা দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে বলে সংশ্নিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

 

গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে রোহিঙ্গাদের মোবাইল সিম ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে সভায় জননিরাপত্তা সচিব, পুলিশের আইজি, পররাষ্ট্র সচিব, বিজিবি, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বাস্তবতার নিরিখে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মোবাইল নেটওয়ার্ক চালুর বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশসহ নানা গোয়েন্দা সংস্থা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।সূত্র জানায়, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের চোরাচালানসহ অন্যান্য অপরাধমূলক বিষয়ে কথোপকথন চালিয়ে আসছে। ভিন্ন দেশের নেটওয়ার্ক থাকায় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে এসব নজরদারি করতে সমস্যা হতো। যে কারণে অনেক তথ্য জানা সম্ভব হতো না। এতে করে বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য অনেকটা ঝুঁকি তৈরি হয় বলে সংশ্নিষ্টরা মনে করছেন।