বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৯টার একটু আগে বাংলাদেশের পতাকায় মোড়ানো একটি গাড়ি হাসপাতাল থেকে তার বাসার দিকে রওনা হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খালেদা জিয়ার মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স গুলশানের বাসায় পৌঁছে।খালেদা জিয়ার মরদেহ তার দীর্ঘদিনের বাসভবন ফিরোজায় নেওয়ার কথা ছিল। তবে খালেদা জিয়ার মরদেহ তার তারেক রহমানের গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে নেতাকর্মী ও স্বজনরা তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে তাকে জানাজার জন্য নেওয়া হবে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে তার স্বামী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে।এভারকেয়ার এবং তার আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এএসএফ), প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ, র;্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখানে রয়েছেন। কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে হাসপাতালের প্রধান ফটক।
সরেজমিনে এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রবেশের মূল ফটকের কয়েক গজ দূর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে। হাসপাতালে রোগী ও তাদের স্বজন ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিচয় এবং হাসপাতালে আসার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে ইন্তেকাল করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ৭৯ বছরের অর্জনপূর্ণ জীবনের অবসানেও তাঁর জন্য শোকস্তব্ধ বাংলাদেশ। শুধু কর্মী-সমর্থক নন, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী-প্রতিযোগী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।