জনপ্রতি ফিতরা সর্বনিম্ন ১১০, সর্বোচ্চ ২৮০৫ টাকা নির্ধারণসৌদিতে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আজ বৈঠক করবে ইউক্রেনবিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরে গেলেন মাহমুদউল্লাহবনানী সড়কের অবরোধ তুলে নিলেন পোশাকশ্রমিকরাকঙ্গোয় নৌকাডুবিতে নিহত অন্তত ২৫
No icon

সেকেন্ড রিপাবলিকের ব্যাখ্যায় যা বলছে এনসিপি

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধপরবর্তী প্রথম রিপাবলিকে শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নহীন রাষ্ট্র গঠন ভিত্তি হলেও রাষ্ট্রব্যবস্থা বারবার সেই আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছে। ১৯৭২ সালের একদলীয় সংবিধানে এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা এবং ক্ষমতাকাঠামোয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রী স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে ওঠে।

পরবর্তী সময়ে সংবিধানের সংশোধনীগুলোতে ধাপে ধাপে স্বৈরতন্ত্র পোক্ত হয় এবং জনগণের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্র উপেক্ষিত হয়। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলন পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি করলেও তিন জোটের রূপরেখার গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার অঙ্গীকার অধরা থেকে যায়। গণতন্ত্রের মোড়কে জনগণের স্বার্থবিরোধী স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।

সেই ধারাবাহিকতায় বিগত সাড়ে ১৫ বছরে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের হাতে নিপীড়নমূলক শাসনব্যবস্থা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থায় রূপ নেয়। একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয় স্বার্থে ব্যবহার, নির্বাচন কাঠামো ধ্বংস, জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া, বিরোধীদল দমন, ভিন্নমতের মানুষকে গুম-খুন, ইচ্ছেমাফিক ক্রসফায়ার ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতন, লুটপাট করে অর্থনীতি ধ্বংসসহ দুর্নীতি-অনিয়ম মহামারির রূপ নেয়।

এর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা সংগঠিত হয়ে ২০২৪-এর জুলাই-আগস্টে এক দফার গণঅভ্যুত্থান ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দাবি নিয়ে অগ্রসর হয় ছাত্র-জনতা।

এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নে গণপরিষদ নির্বাচনের ব্যবস্থা চায় এনসিপি।